বুধবার, ১০ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

গভীর রাতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ফোন

মহিউদ্দিন খান মোহন

গভীর রাতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ফোন

গভীর রাতে বেজে উঠল আমার মোবাইল ফোনটি। সদ্য আসা ঘুমটা গেল ভেঙে। নম্বরটি অপরিচিত। ঘড়িতে তখন রাত ১২টা ৫৮ মিনিট। এত রাতে ফোন! নিশ্চয়ই কোনো জরুরি খবর। রিসিভ করার আগেই কলটি কেটে গেল। ব্যাক করলাম। ওপাশে যিনি কলটি রিসিভ করলেন তার কণ্ঠ খুব পরিচিত মনে হলো। সহাস্যে তিনি বললেন, ‘মোহন ভাই, চিনতে পেরেছেন?’ আমি কিছু বলার আগেই নিজের পরিচয় দিলেন। এবার কণ্ঠ পরিচিতির সঙ্গে তার মুখচ্ছবিও ভেসে উঠল চোখের সামনে। যিনি কথা বলছিলেন তিনি ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তরুণ এবং পরিশ্রমী হিসেবে দৃষ্টি কেড়েছিলেন সবার। করিৎকর্মা হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন যথেষ্ট। বিশেষত পাবলিক পরীক্ষায় নকল বন্ধের ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা তাকে খ্যাতি এনে দিয়েছিল। একসময় তার সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠতাই ছিল আমার। দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগ ছিল না। হঠাৎ করে তার ফোনকল পেয়ে অবাকই হলাম। বললাম, ‘তা ভাইজান এই অধমকে এত রাতে স্মরণ করার হেতু?’ বললেন, ‘দুঃখের কথা, কষ্টের কথা শেয়ার করব বলেই আপনাকে বিরক্ত করা।’ বললাম, ‘না না বিরক্ত হব কেন! বরং আমার ভালো লাগছে, আপনি আমাকে স্মরণে রেখেছেন।’ এরপর তিনি গত ২৬ জুন বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত আমার ‘অবৈধ সংসদে বৈধ এমপি!’ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বললেন, লেখাটি পড়ে মনে হলো আপনার সঙ্গে কষ্টের কথা শেয়ার করা যায়। দীর্ঘ প্রায় আধা ঘণ্টার টেলি-আলাপে সাবেক ওই প্রতিমন্ত্রী তার অনেক কষ্ট, আক্ষেপ ও ক্ষোভের কথা বললেন। বললেন দলের জন্য তার ত্যাগের কথা, দল কর্তৃক তাকে বঞ্চিত করার কথা ইত্যাদি। আক্ষেপের সঙ্গে বললেন, ‘ভাইজান, ছাত্রজীবনে শহীদ জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলাম। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম আমি। পড়াশোনা শেষ করে জীবিকার অন্বেষণে চলে গিয়েছিলাম সুদূর মার্কিন মুলুকে। সেখান থেকে এসে ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগের এক জাঁদরেল নেতাকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হই। তারপর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য রাজনীতি ও দলের স্বার্থে আমেরিকার নাগরিকত্ব বিসর্জন দিই। মামলার আসামি হয়ে জেল খাটি। অথচ এবার মনোনয়ন দেওয়া হলো এমন এক ব্যক্তিকে, এলাকাবাসীর সঙ্গে যার সম্পর্ক নেই।’ কিন্তু কেন এটা হলো- আমার এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘এও কি আপনাকে ব্যাখ্যা করে বলতে হবে? জানেন না কী ঘটেছে এবার?’ তারপর তিনি শোনালেন তার মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার রোমাঞ্চকর কাহিনী। টাকার কাছে দলীয় আনুগত্য-আদর্শের কানাকড়ি মূল্য নেই- এ কথাও বললেন। ক্ষোভের সঙ্গে আরও বললেন, এ দল (বিএনপি) জিয়ার আদর্শের ধারেকাছেও আর নেই। দলটি এখন কতিপয় ব্যক্তির অর্থকড়ি কামাইয়ের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। শেষ পর্যায়ে এসে তিনি তার হতাশার কথা ব্যক্ত করে বললেন, এজন্যই দল ও রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছি। শেষমেশ একটি প্রশ্ন করলেন, ‘মোহন ভাই, এ দলের ভবিষ্যৎ কী?’ বললাম, ‘শুক্লপক্ষ শেষ হয়েছে আগেই, চলছে কৃষ্ণপক্ষ, সামনে অমাবস্যা ছাড়া আর তো কিছু দেখি না।’ ‘হুম, তাই তো মনে হচ্ছে’- বলে এত রাতে কথা বলার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে ফোন ছাড়লেন তিনি। সাবেক ওই প্রতিমন্ত্রীর কথাগুলো মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে কদিন ধরেই। তার মতো এমন বঞ্চনার শিকার এ দলে অনেকেই হয়েছেন। জীবনের সোনালি সময়গুলো উজাড় করে যারা দলের জন্য ব্যয় করেছেন, সর্বস্ব খুইয়ে হয়েছেন কপর্দকহীন, তাদের অনেকেই এখন দল থেকে অবস্থান করছেন যোজন যোজন দূরে। কেউ কেউ ছেড়েছেন রাজনীতির অঙ্গন। দলের মধ্যে অনৈতিকতার প্রাবল্য, অনিয়মের বিস্তার, দুর্বৃত্তায়ন, কোন্দল, দলীয় স্বার্থকে তুচ্ছজ্ঞানে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে সংকীর্ণতার চর্চা চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী এ দলটিকে করে তুলেছে হীনবল। সংবাদমাধ্যমগুলোয় দলটির সাংগঠনিক পরিস্থিতির যেসব খবর মাঝেমধ্যে প্রকাশিত হয়, তা নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদেরই শুধু নয়, হতাশ করে সাধারণ সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদেরও। এমনকি যারা দলটির সমর্থক নন, তারা আশাহত হন এজন্য যে, সরকারকে চাপে রাখার জন্য যে শক্তিশালী একটি বিরোধী দল থাকা দরকার, বিএনপির ম্রিয়মাণ অবস্থা তাদের সে প্রত্যাশাকে হতাশার চাদরে ঢেকে দিয়েছে।

অস্বীকার করা যাবে না, বিএনপি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল। দেশবাসী আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসেবে এখনো বিএনপিকেই চিন্তা করে। যে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের বিপরীতে একটি শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এটা প্রয়োজন এ কারণে যে, শাসক দলের কর্মকান্ডে বীতশ্রদ্ধ জনগণ যাতে বিকল্প শক্তিটিকে বেছে নিতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এযাবৎ পরস্পর তা-ই ছিল। একটি আরেকটির পরিপূরক। কিন্তু বর্তমানে বিএনপির যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে এটা এখন আর সেই বিকল্প শক্তি নেই। বরং তা পরিণত হয়েছে বিকলাঙ্গ শক্তিতে। কেন এমন হলো- এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকে অনেক কথা বলবেন। কেউ বলবেন সরকারের অব্যাহত দমননীতি দলটিকে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে দিচ্ছে না, কেউ বলবেন চেয়ারপারসন কারাগারে থাকায় দলের নেতৃত্ব সমন্বয়হীন হয়ে পড়েছে, আবার কেউ বলবেন দেশে থাকা সিনিয়র নেতাদের মতানৈক্য দলটিকে ঐক্যবদ্ধ করার পথে বড় অন্তরায়। যুক্তির খাতিরে এর একটিও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। সরকারের অসহিষ্ণু আচরণ বিএনপিকে কোণঠাসা করার অন্যতম কারণ এটা অস্বীকার করা যাবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এ দেশে রাজনীতি ও সাংগঠনিক তৎপরতা চালানোর জন্য যে পরিমাণ স্পেস পাওয়ার অধিকার বিএনপির প্রাপ্য, তা যে অনেকাংশেই খর্ব হচ্ছে তা স্বীকার না করলে সত্যকে এড়িয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সরকারের সেই ‘দমননীতি’কে মোকাবিলা করার জন্য যে ধরনের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন দরকার, তা কি গত কয়েক বছরে এতটুকু দৃশ্যমান হয়েছে? বরং আমরা তার উল্টোটাই ঘটতে দেখেছি। শীর্ষ নেত্রীর অনুপস্থিতিতে দলটির নেতাদের মধ্যে যে ধরনের ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় থাকা দরকার ছিল ঠিক তার বিপরীত দৃশই দেখা যাচ্ছে। একেক নেতা একেক কথা বলে দলটির গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবোধক করে তুলছেন জনসাধারণের কাছে।

গত ২৯ জুন বাংলাদেশ প্রতিদিনের ‘গন্তব্যহীন বিএনপি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সে পরিস্থিতির চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে। তাতে শীর্ষ নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দলটির নেতাদের ব্যর্থতা, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি গঠন নিয়ে কোন্দল-মারামারি এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ভাঙা-গড়া নিয়ে যেসব ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে তা অস্বীকার করবে কে? অন্য একটি দৈনিক পত্রিকা সম্প্রতি বিভাগওয়ারি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থার ওপর সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্পষ্ট হয়েছে। প্রায় সবকটি অঞ্চলেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজমান হতাশা, ক্ষোভ, নিষ্ক্রিয়তা, সাংগঠনিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা, কোথাও আবার প্রভাবশালী নেতাদের আপন বলয় সৃষ্টির চেষ্টায় বিভক্তি, রাজপথে নিষ্ক্রিয় হলেও গ্রুপিংয়ে সক্রিয় থাকার কথা তুলে ধরা হয়েছে ওইসব প্রতিবেদনে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা যেসব ক্ষোভ-হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন তা একটি রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যতের জন্য শুভ ইঙ্গিত দেয় না। অনেকে দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন, অনেকে ছেড়েও দিয়েছেন। ফলে এ দলটির যারা সাধারণ সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ী তারা হতাশায় ভুগছেন।

বিএনপির এ অবস্থার জন্য অনেকেই বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিকে কারণ হিসেবে মনে করেন। তার অনুপস্থিতি দলটিকে কান্ডারিহীন জলযানের রূপ দিয়েছে- এমন মতও ব্যক্ত করেছেন অনেকে। আদালতের দন্ড মাথায় নিয়ে সুদূর লন্ডনে বসে তারেক রহমান স্কাইপিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বটে, তবে তা তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে মনে হয় না। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের নির্বাচিত পাঁচ এমপির শপথ গ্রহণের দৃঢ় প্রত্যয়; যেজন্য শেষ পর্যন্ত ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় এ শপথ গ্রহণ’- এ কথা প্রচার করে নেতৃত্বের ইজ্জত রক্ষা করতে হয়েছে। ইতিমেধ্যই খবর বেরিয়েছে, কারান্তরিন খালেদা জিয়া দলের নেতাদের ওপর চরম ক্ষুব্ধ। তিনি জেলখানা বা হাসপাতালে তাদের দেখাও দিচ্ছেন না। নতুন প্রকাশিত একটি দৈনিকের ২২ জুন সংখ্যার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যানের পর নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ, সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন, বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বেগম জিয়া তাঁর দলের  নীতিনির্ধারকদের ওপর চরম ক্ষুব্ধ। এ ক্ষোভের কারণে গত পয়লা বৈশাখের পর থেকে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন না। যদিও দলটির নেতারা এ কথা স্বীকার করেন না। তাদের অভিযোগ, কারা কর্তৃপক্ষই নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিচ্ছে না। তবে পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, কারা কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র জানিয়েছেন, বেগম জিয়া তাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, তার অনুমতি ছাড়া কাউকে যেন সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া না হয়। এ থেকে অনুমান করা যায় নিজ দলের নেতাদের কর্মকান্ড বেগম জিয়াকে যারপরনাই অসন্তুষ্ট করে তুলেছে। তিনি তার মুক্তির ব্যাপারে দলের কাছ থেকে যে ধরনের তৎপরতা আশা করেছিলেন তার সহস্র ভাগের এক ভাগও যে দৃশ্যমান হয়নি তা তো আর অস্পষ্ট নেই। নেতাদের ওপর বেগম জিয়ার ক্ষোভ, নীতিনির্ধারকদের এলোমেলো সিদ্ধান্ত, কোন্দল-হানাহানি বিএনপির নেতৃত্ব সংকটে নিপতিত হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে। দলটির এ নেতৃত্ব সংকটের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে পূর্বোক্ত দৈনিকটির ২৬ জুন সংখ্যায়। তাতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা ও বিশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিএনপিতে এখন আর কেউ কাউকে মানছে না। এমনকি লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনাও এখন আর কেউ তোয়াক্কা করছে না। ফলে এক নজিরবিহীন অরাজকতার মধ্যে পড়েছে বিএনপি। ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিদৃষ্টে বিএনপির ক্ষুব্ধ সমর্থকরা মন্তব্য করছেন, দলের নেতৃত্ব বা পদ-পদবির জন্য এরা যতটা মারমুখী, নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে কি এর এক সহস্রাংশও দেখাতে পেরেছেন? তারা এও বলছেন, বিএনপি এখন একটি ‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং- এমএলএম’ কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এখানে একদল লোক শীর্ষস্থানে ‘নজরানা’ দিয়ে পদ বা কমিটি কিনে নিচের লেভেলে তা বিক্রি করে। কেন্দ্র থেকে বিক্রি হয় জেলা কমিটি, জেলা কমিটি বিক্রি করে উপজেলায়, আর উপজেলার নেতারা তা বিক্রি করেন ইউনিয়ন পর্যায়ে। এ বিপণন-ব্যবস্থার ফলে বিএনপি এখন রাজনৈতিক দলের চরিত্রই হারাতে বসেছে। দেশের রাজনীতিসচেতন মানুষ তাই দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু দলটির নীতিনির্ধারকদের মনে সেই চিন্তাবোধ আছে কিনা সেটাই প্রশ্ন।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

সর্বশেষ খবর