শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাড়ছে কিশোর অপরাধ

বাবা-মায়ের নজরদারি বাড়াতে হবে

কিশোর অপরাধীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। তাদের অপরাধের শিকারে যারা পরিণত হচ্ছে তার এক বড় অংশ কিশোর। এমনকি হত্যাকা-ন্ডের মতো অপরাধও ঘটাচ্ছে কিশোর অপরাধীরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের দ্বারা সংঘটিত হত্যকা-ন্ডের শিকাররাও কিশোর। বাংলাদেশ প্রতিদিনের ‘কিশোররা কেন হত্যাকা-ন্ডের শিকার’ শীর্ষক প্রতিবেদনে কিশোর অপরাধ ও হত্যাকা-ন্ডের হালহকিকত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কিশোর হত্যাকা-ন্ডের ধরনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেমঘটিত বিরোধ, আর্থিক ও মাদকসংক্রান্ত কারণে কিশোররা হত্যাকা-ন্ডের শিকার হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পাড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কিশোর গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে উল্লেখযোগ্য হত্যাগুলো ঘটছে। বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদেরই বেশি প্রাণ যাচ্ছে। যারা হত্যাকা-ন্ডের শিকার বেশির ভাগই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিশোর হত্যাকা-গুলোয় চাকু ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজধানীতে বহু খুন, ধর্ষণ, মাদকসহ নানা ধরনের অপরাধে শিশু-কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে। এর আগে রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকার কিশোরদের ‘গ্যাং কালচারে’ উদ্বুদ্ধ হতে দেখা গেলেও বর্তমানে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় যেমন বংশাল, চকবাজার, সুরিটোলা, চানখাঁরপুল ও মালিটোলায়ও এ ধরনের অনেক গ্রুপ শনাক্ত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশে কিশোর বয়সীদের অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি একটি উদ্বেগজনক বিষয়। কিশোরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে অপরাধ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে তা হলো ইভ টিজিং। ইভ টিজিংয়ের ভয়ে দেশে বাল্যবিয়ের প্রবণতা এই আধুনিক যুগেও সমানে অব্যাহত। কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সন্তানদের ওপর বাবা-মায়ের নজরদারির কোনো বিকল্প নেই। মাদকের বিরুদ্ধেও নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ। শিক্ষাঙ্গনে নৈতিক শিক্ষা জোরদারের উদ্যোগ নেওয়াও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর