শিরোনাম
সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা : যে পথে সমাধান

প্রকৌশলী জাহিদ আবছার চৌধুরী

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা : যে পথে সমাধান

সাগর, নদী, বন আর পাহাড়ঘেরা চট্টগ্রামের নাম শুনলে এখন আর প্রকৃতির ‘সুন্দর রূপ’ ভেসে ওঠে না; বরং কল্পনায় ভেসে আসে ‘জলাবদ্ধ’ এক নগরীর ছবি। হাঁটু থেকে কোমর পানি ডিঙিয়ে হাঁটছে মানুষ। ডুবে থাকা রাস্তায় খুব সাবধানে চলছে গাড়ি। এক দশকের বেশি সময় ধরে গণমাধ্যমে চট্টগ্রামের এমন ছবিই প্রাধান্য পেয়েছে। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। ‘ডুবে থাকা’ চট্টগ্রাম নগরীর ছবি আগামী বর্ষায় আরও কয়েকবার দেখা যাবে সন্দেহ নেই।

ভরা বর্ষায় প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতার আতঙ্কে থাকে নগরবাসী। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এই জনদুর্ভোগ। অথচ নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ১৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিন মেয়র প্রায় ৩২৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন। এই টাকা ব্যয় হয়েছে নালা-নর্দমা ও খাল থেকে মাটি উত্তোলন, প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ, খালের তলা পাকাকরণ, খননযন্ত্র ও মাটি সরানোর কাজে ট্রাক কেনায়। জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রতি বছর গড়ে খরচ হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। নগর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলীদের মতে পরিকল্পিতভাবে ওই টাকা খরচ হয়নি। রুটিন কাজ করেই দায় সেরেছে সিটি করপোরেশন। জল দূর করার টাকা যেন জলেই গেছে। ফলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। আবার সমস্যা যতটা ব্যাপক, সে অনুযায়ী ব্যয় হওয়া অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়।

বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে বিগত বছর এপ্রিল মাসে প্রবল বৃষ্টিতে দুবার ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা। এরপর গত  জুন বৃষ্টিতে আবার ডুবে যায় নগরীর বড় একটি অংশ। সেদিন থেকে টানা চার দিন ডুবে ছিল নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আগ্রাবাদ এক্সেস রোড। পরবর্তীতে বৃষ্টিতে নগরীর প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। ডুবে যায় আগ্রাবাদের একটি হাসপাতালসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকা। তখন আবারও প্রায় তিন দিন ডুবে ছিল আগ্রাবাদ এক্সেস রোড। এ সময় সড়কে নৌকাও চলতে দেখা যায়। সর্বশেষ প্রবল বৃষ্টিতে আবারও তলিয়ে যায় নগরী।

চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ২২টিতেই বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কম-বেশি জলাবদ্ধতা হয়। নগরীর ৬০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৬১৩ জন এসব ওয়ার্ডে বসবাস করছে। সবচেয়ে বেশি জলবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হয় চান্দগাঁও, পূর্ব ষোলশহর, শুলকবহর, চকবাজার, পশ্চিম বাকলিয়া, পূর্ব বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়া, উত্তর আগ্রাবাদ, দক্ষিণ আগ্রাবাদ, পাঠানটুলী, বকসিরহাট, গোসাইলডাঙা, উত্তর মধ্যম হালিশহর এলাকার মানুষদের। এই ১৩ ওয়ার্ডে মোট বাসিন্দা ১৮ লাখ ২৮৫ জন।

এ ছাড়া পাঁচলাইশ, মোহরা, পশ্চিম ষোলশহর, উত্তর কাট্টলী, রামপুর, উত্তর হালিশহর, পাথরঘাটা, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও দক্ষিণ হালিশহরের বাসিন্দাদেরও জলাবদ্ধতায় ভুগতে হচ্ছে। এ ৯টি ওয়ার্ডে বাস করে ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৩২৮ লোক। সিটি করপোরেশনের বাজেট বই ও বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালে ২০০৩-০৪ থেকে ২০০৮-০৯ অর্থবছর পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যয় হয় ৬৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করে ২০১০ সালের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মনজুর আলম। তার মেয়াদে ব্যয় হয় ২০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দায়িত্ব নিয়ে দুই বছরে খরচ করেছেন ৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, জলাবদ্ধতা এটি সমাধানযোগ্য সমস্যা। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে এবং কয়েকটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিলে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব। মেয়র নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সালে দায়িত্ব নেন তিনি। তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর মেয়র এখন বলছেন, এ মুহূর্তে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। সিটি করপোরেশনের সেই জনবল এবং আর্থিক সক্ষমতাও নেই। এ জন্য মেগা (বড়) প্রকল্প নিতে হবে এবং সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে এই সমস্যা নিরসনের জন্য বসে না থেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন মেয়র নাছির উদ্দীন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পৃথকভাবে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতার কারণগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম চাক্তাই খাল। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর সময় চাক্তাই খালের তলা পাকা এবং দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হয়। তবে দু-তিন বছরের মধ্যে আবার খাল ভরাট হয়ে যায়। এতে খালের আশপাশের এলাকা চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বউবাজার, মাস্টারপোল, মিয়াখাননগর, ডিসি রোড, চকবাজার, বাকলিয়া ও কাপাসগোলা এলাকায় আবারও জলাবদ্ধতা দেখা যায়। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে খালের দুই পাড় উপচে তলিয়ে যেত বসতঘর, রাস্তাঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় জোয়ার হলে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করত। এই সমস্যা এখনো রয়ে গেছে।

নগরীতে শাখা-প্রশাখা মিলিয়ে ১১৮টি খালের মোট দৈর্ঘ্য  ১৮২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। বর্তমানে পাকা ও কাঁচা নালা-নর্দমা আছে যথাক্রমে ৭১০ কিলোমিটার ও ৫৫ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বরাদ্দ পায়। করপোরেশনের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের হার ১৭ থেকে ৩৫ শতাংশে ওঠানামা করে। আর রাজনৈতিক বিবেচনায় কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়। খাল ও নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলন করে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। এ সমস্যা দূর করতে সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করার বিকল্প নেই। আর বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের সময় সিটি করপোরেশন নালা-নর্দমা ও প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণে ৮২ কোটি ৮২ লাখ ৯১ হাজার টাকা এবং নালা-নর্দমা ও খাল থেকে মাটি অপসারণে ২১ কোটি ৯৭ লাখ ২৭ হাজার টাকা খরচ হয়। যখন নাগরিক দুর্ভোগ চরমে ওঠে তখন লোক দেখানোর জন্য সব মেয়রই খাল খননের পাশাপাশি যন্ত্রপাতি কেনেন। এত টাকা  পরিকল্পিত উপায়ে খরচ করা হলে নগরবাসী সুফল পেত। গত কয়েক বছরে জলাবদ্ধতা সমস্যার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এই সমস্যা সমাধান করতে ১৯৯৫ সালে প্রণীত চট্টগ্রাম ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। কেবল জোড়াতালির কাজ করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বৃষ্টি ও জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা কিংবা বন্যা- এসব দুর্ভোগ থেকে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ১৯৯৫ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘চিটাগাং স্টর্ম ওয়াটার ড্রেনেজ অ্যান্ড ফ্লাড কন্ট্রোল মাস্টারপ্ল্যান’। এটি ‘ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা’ নামে পরিচিত। নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে কী করণীয়, এই মহাপরিকল্পনায় এর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের।

জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী ও বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত খালগুলোর মুখে ৩৬টি জোয়াররোধক ফটক (টাইডাল রেগুলেটর) নির্মাণের কথা বলা হয় মহাপরিকল্পনায়। এখন পর্যন্ত একটি ফটকও নির্মাণ করা হয়নি। ফলে চাক্তাই, রাজাখালী, ডোমখালী ও মহেশখাল দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টি ছাড়াই ডুবে যায়। চট্টগ্রাম শহরে কোনো ড্রেনেজ ও ঝড় বৃষ্টিজনিত সৃষ্ট পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ফলে বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতেই নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা নিরসনে নগরীর মহাপরিকল্পনা অগ্রাধিকার প্রকল্প এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ জন্য সিটি করপোরেশন, সিডিএ, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও অর্থের অভাব অনেকাংশেই দায়ী।

জলাবদ্ধতার কারণ : পাহাড় কাটার কারণে এর মাটি ও বালু বৃষ্টির পানির সঙ্গে এসে নালা-নর্দমা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আবার যেসব নালা-নর্দমা আছে, সেগুলো মানুষ দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে এবং সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ কারণটি হচ্ছে, খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পানি যেখানে পড়বে (কর্ণফুলী নদীতে), সেখানে মুখগুলো উঁচু হয়ে গেছে। ফলে জোয়ারের সময় নদীর পানি সহজে প্রবেশ করছে, পরে আর বের হতে পারছে না।

দ্রুত মানুষ বাড়ছে। পরিকল্পিতভাবে নগরায়ণের কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। মানুষ যত্রতত্র বাড়ি তৈরি করছে। আগে যেখানে পানি জমত, সেগুলো ভরাট করছে। পাহাড় কেটে ফেলছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত এই নগর।

নিচু এলাকা এবং জলাধার ও জলাশয় ভরাট করে ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এতে ড্রেনেজ এলাকা কমে যাচ্ছে। আবার নালা-নর্দমা ও খালগুলো দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ি বালু নালা ও খালে পড়ে তা ভরাট হয়ে গেছে। খালের ভিতর দিয়ে সেবা সংস্থার পাইপলাইন গিয়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। নালা-নর্দমা ও খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করার মানসিকতাও জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট হওয়ার একটি কারণ। চট্টগ্রাম নগর সাগর ও নদীর পাশে গড়ে উঠেছে। ফলে জোয়ারের পানি অবাধে শহরে প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে যায়। যখন একই সময়ে বৃষ্টিপাত ও উচ্চ জোয়ার থাকে, তখন অবস্থা ভয়াবহ হয়।

সম্ভাব্য সমাধান :

নগরের জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের জন্য পুনরায় যথেষ্ট পরিমাণ গবেষণা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

নিয়মিত ড্রেজিং করে কর্ণফুলীর গভীরতা বাড়াতে হবে। নদীর আশপাশে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। নগরের সব খাল নিয়মিত খনন এবং রাস্তার পাশে নালার গভীরতা ও প্রশস্ততা বাড়াতে হবে। জলাশয়, ডোবা ও পুকুর ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা নালা-নর্দমার মাধ্যমে খাল ও নদীতে চলে  যাওয়া বন্ধ করতে হবে। ময়লা ব্যবস্থাপনায় নজরদারি জোরদার করতে হবে।

পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা, খাল ও নালা-নর্দমার অপদখল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। নতুন তিনটি খাল খনন এবং খালগুলোর অপ্রয়োজনীয় বাঁক সংশোধন করে সোজা করা প্রয়োজন।

পাহাড়ের বালু রোধে সিলট্র্যাপ (পাহাড়ি বালু আটকানোর ফাঁদ) করা প্রয়োজন। জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য জোয়ার প্রতিরোধক ফটক নির্মাণ প্রয়োজন।

সাগর ও নদীর কাছাকাছি নিচু এলাকায় জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে। নালা ও খালের ভিতর থাকা সেবা সংস্থার পাইপলাইন সরিয়ে নিতে হবে।

নালা-নর্দমা ও খালগুলোর কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করতে হবে। নালা-নর্দমা ও খালে যাতে কেউ আবর্জনা ফেলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই হবে।

জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলের কার্যালয়গুলোকে সক্রিয় ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। এটি প্রণয়নের পর অনেক সময় চলে গেছে। এখন এই মহাপরিকল্পনাকে সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হবে।

সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে সিডিএ, বন্দর, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব সেবা সংস্থার সমন্বয়ে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাদের যে বাজেট তাতে তাদের পক্ষে কঠিন। এ জন্য সরকারি সব সংস্থা, যেমন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) সিটি করপোরেশনের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। বড় ধরনের কাজগুলো করবে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সিটি করপোরেশন খাল ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে। পাশাপাশি পুরো নগরকে ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করে কাজ করা যেতে পারে। নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। তা না হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে না।

লেখক : নগর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলী সংগঠক।

 

 

সর্বশেষ খবর