বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

আদালতে হত্যাকান্ড

নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক

কুমিল্লায় আদালতের বিচারকের খাসকামরায় হত্যা মামলার এক আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন অন্য এক আসামি। পুলিশ এ অভিযোগে হত্যাকারীকে গ্রেফতারও করেছে। আদালতের মতো নিরাপত্তাবলয়ে হত্যা মামলার একজন জামিনে থাকা আসামি কীভাবে ছুরি নিয়ে প্রবেশের সুযোগ পেলেন সে প্রশ্ন উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ড আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বলেছে, হত্যা মামলার আসামি হাসান ও ফারুক সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই। ফারুক মামলায় হাসানের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি খেপে যান এবং ফারুককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। আদালতে বিচারকের সামনে এক আসামি অন্য আসামিকে হত্যা বিচারককেও স্তম্ভিত করে দেয়। নিজের নিরাপত্তার বিষয়েও শঙ্কিত হওয়ার কথা বলেছেন তিনি। আইনজীবীসহ আদালতে উপস্থিত অন্যদের মধ্যেও মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। স্মর্তব্য, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দিগ্রামে হাজী আবদুল করিম নামের এক বৃদ্ধ প্রথম পক্ষের তিন ছেলে ও নাতিদের দ্বারা ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট হত্যার শিকার হন। নিহত বৃদ্ধ হাসানের নানা ও ফারুকের দাদা। এ মামলায় গ্রেফতার হন হাসান ও ফারুক, পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। জামিনে থাকা অবস্থায় আদালতে মামলার শুনানির দিন হাজিরা দিতে এসে দুই আসামির একজন আরেকজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। কুমিল্লায় আদালতে হত্যাকান্ডের ঘটনা দেশের আদালতগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে যে বড় ধরনের ত্রুটি রয়েছে সে সত্যটি তুলে ধরেছে। দৃশ্যত আদালতগুলোয় পুলিশ প্রহরা থাকলেও সেখানে প্রবেশের সময় তল্লাশির ব্যবস্থা না থাকায় অস্ত্রধারীদের পক্ষেও অনুপ্রবেশের সুযোগ থাকে। আমরা আশা করব, নিন্দনীয় এ হত্যাকান্ড দেশের সব আদালতের নি-িদ্র নিরাপত্তার তাগিদ সৃষ্টি করবে। আদালতে বিচারক, আইনজীবী কিংবা বিচারপ্রার্থী বা আসামি সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় তা করা হবে। পাশাপাশি কুমিল্লায় আদালতে কীভাবে এক আসামির ছুরিসহ প্রবেশের সুযোগ

ঘটল, তা যথাযথভাবে চিহ্নিত করে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে- এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর