শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিক্ষার মান নিয়ে সংশয়

কড়া নজরদারির বিকল্প নেই

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার এবং জিপিএ-৫-প্রাপ্তির হার বেড়েছে। দৃশ্যত পাসের হার ও জিপিএ-৫-প্রাপ্তির হার বৃদ্ধির অর্থ দাঁড়ায় পড়াশোনার মানও বৃদ্ধি পাওয়া। কিন্তু আমাদের দেশে প্রশ্নপত্র থেকে শুরু করে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে নানা সংশয় থাকায় পাসের হার বৃদ্ধি পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক সূচক কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া কঠিন। এ কথা ঠিক, সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। বড় মাপে এক মহাকলঙ্ক ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে জাতি। তার পরও স্বীকার করতেই হবে, শিক্ষা ক্ষেত্রে অনিয়ম আর অব্যবস্থার যে চিত্র রয়েছে দেশজুড়ে, তা উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের মতে পরীক্ষায় পাসের হার বাড়লেই গুণগতমান বাড়ছে তা বলা যাবে না। শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তাও খুব বেশি ফলপ্রসূ হচ্ছে না। শিক্ষায় দুটি দিক- একটি পরিমাণগত, অন্যটি গুণগত। শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিমাণগত দিক বাড়ছে। কারণ, আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। সবাই সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠাচ্ছে। ভর্তির হার বাড়ছে। পাসের হারও বাড়ছে বছর বছর। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফলের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা খুব বেশি ফলপ্রসূ হচ্ছে না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। পরীক্ষার ফল ভালো হলেও গুণগতমান বাড়ছে না। কারণ, পরীক্ষা ব্যবস্থাটিতেই ত্রুটি রয়েছে। পাসের হার, জিপিএ-৫ বেড়েছে, কিন্তু এ ফলাফলে খুব সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, সবাই যোগ্যতা অর্জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে তা বিশ্বাস করার মতো পর্যায়ে পৌঁছায়নি। শিক্ষার মান বাড়াতে হলে ক্লাসরুমে শিখন, শিখন পদ্ধতি যুগোপযোগী করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান উদ্বেগ দূর করতে হলে শিক্ষার সঠিক মান বাড়াতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধই শুধু নয়, ভুল প্রশ্নের আপদকে ঠেকাতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিদ্যমান দুর্নীতি ও গাফিলতির অবসান ঘটাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর