রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

মাছের ইতিহাস

কথায় বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙালির খাদ্য তালিকায় প্রথম এবং প্রধান অঙ্গ হিসেবে মাছকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অবশ্য বাঙালি ছাড়াও অনেকে মাছ পছন্দ করে। মাছের কদর বাঙালির ঘরে ঘরে দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং আরও বাড়বে বৈ কমবে না। ঊর্ধ্বগামী দামের মাছ এখন নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকের হাতের নাগালের বাইরে। যাদের প্রতিদিন মাছ না হলে চলে না তাদেরও বর্তমানে লাগাম টানতে হচ্ছে। আমাদের দেশে যেসব মাছ খাল-বিল, হাওর, নদী-নালা, পুকুর ইত্যাদিতে পাওয়া যায় তার মধ্যে আছে রুই, কাতলা, পাবদা, রানী, চিংড়ি, টেংরা, পুঁটি, গলদা চিংড়ি, মৃগেল, চাপিলা, দাড়কিনা, সরপুঁটি, বোয়াল, মলা, বেটকি, চিতল, বাঁশপাতা, ভেড়া, বাঘ, শিং, মাগুর, বালিয়া, উপল, চেং, ইলিশ, কই, আইড়, বাইন, রিঠা, ফুটকরা, চেলা, বালুয়া, লাছো, লাড়িয়া, গজার, শোল, তেলাপিয়া, গুতুম, বাচা ইত্যাদি। সমুদ্রেও প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। এসব মাছকে সামুদ্রিক মাছ বলে। তবে সমুদ্রের মাছের চেয়ে আমাদের দেশের নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুরের মাছের স্বাদ বেশি। সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে প্রচুর সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। এসব মাছ বিদেশেও রপ্তানি হয়। সামুদ্রিক মাছ থেকে উন্নতমানের শুঁটকিও তৈরি করা হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাছের চাহিদাও বাড়ছে। আজকাল আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে মাছের চাষ হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে বাজারে মাছের দামও হু হু করে বাড়ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকাই এর কারণ। অন্য কারণ হচ্ছে, বিদেশে রপ্তানি। দেশের চাহিদা পূরণ না করে বিদেশে মাছ রপ্তানি না করার জন্য ভোক্তাদের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন-নিবেদন করা হচ্ছে।

আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর