শিরোনাম
বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

সাত কলেজের অধিগ্রহণ প্রসঙ্গ

শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন সর্বস্তরের সহপাঠীরা। তাদের বক্তব্য, সাত কলেজের অধিভুক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছে। কর্তৃপক্ষ আন্দোলন থামাতে শিক্ষার্থীদের দাবি উপাচার্য দেশে ফেরার পর বিবেচনা করা হবে, এমন আশ্বাস দেওয়ার পরও কাজ হয়নি। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, একাডেমিক সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সাফ সাফ বলে দিয়েছেন, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না করলে এ অচলাবস্থা বজায় রাখা হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডাকসু। রবিবার সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। অচলাবস্থা নিরসনে বিকালে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের যে কোনো যৌক্তিক দাবির প্রতি তারা সহানুভূতিশীল। তবে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের এখতিয়ার তাদের নেই। উপাচার্য চীন থেকে আসার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তার এমন আশ্বাসে কান  দেননি শিক্ষার্থীরা। তাদের কথা, অধিগ্রহণ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সবারই জানা, অধিগ্রহণকৃত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে রয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণে তাদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছেÑ এমন দাবিও করছেন তারা। এ প্রেক্ষাপটে ওই সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও এখন চান অধিগ্রহণ বাতিল হোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতে, অধিগ্রহণকৃত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীসংখ্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও বেশি। লোকবল না বাড়িয়ে অধিগ্রহণ করায় আম ও ছালা দুই খোয়ানোর বিপদ ঘটছে। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে সুযুক্তি থাকায় তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়াই হবে যৌক্তিক।

সর্বশেষ খবর