শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

বালিশকান্ডের কুশীলবরা

ওদের মানসিক হাসপাতালে পাঠান

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বালিশকান্ডের কুশীলবদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৪ জন কর্মকর্তা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কিছু ঠিকাদারি কাজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এর মধ্যে ১৬ জনকে সাময়িক বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বুধবার সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারি কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, চারজন কর্মকর্তা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্মকর্তাদের একজন অবসরে এবং তিনজন পিআরএলে গেছেন। তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত কমিটি সম্পৃক্ততা পায়নি বলে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্মর্তব্য, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কর্মকর্তাদের জন্য বালিশ কেনা ও তা সংশ্লিষ্টদের ফ্ল্যাটে পরিবহনের জন্য যে অর্থ ব্যয় দেখানো হয় তা তুঘলকি কান্ড বললেও কম বলা হয়। মন্ত্রণালয়ের তদন্তে তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পারমাণবিক প্রকল্পের কাজে অতিরিক্ত ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা নিয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, ঠিকাদারদের অন্যান্য কাজের পাওনা বিল থেকে এ টাকা কেটে রাখা হবে এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলসহ অন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা মন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। তবে বালিশকান্ডে জড়িতরা যে পুকুর চুরি করেছেন তা কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এ ধরনের অসুস্থ মানসিকতার লোকজনকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর কথাও ভাবা যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর