শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

কমছে না ডেঙ্গু আতঙ্ক

দোহাই, মশা নিধনে আন্তরিক হোন

ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে ১৭ কোটি মানুষ। রাজধানী ছাড়া দেশের কোথাও আশঙ্কাজনকভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে না পড়লেও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। আফ্রিকা থেকে আসা এডিস মশা বাংলাদেশের জনমানুষের শান্তি কেড়ে নিয়েছে নিশ্চিতভাবে। এ বছর এ পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ২৮ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৪৭ জন। সরকারি হাসপাতালগুলোয় এখন ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। তবে এটিই ডেঙ্গু আতঙ্কের মূল কারণ নয়। ডেঙ্গু আক্রান্তরা যে অসহনীয় যন্ত্রণায় ভোগে তা আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী। মতলববাজদের গুজব সৃষ্টিও জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ায় তাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। ডেঙ্গু প্রতিরোধে র‌্যালি, সভা, সেমিনার, বক্তব্যের ছড়াছড়ি থাকলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না এই ঘাতক রোগ। ডেঙ্গুতে যারা প্রাণ হারাচ্ছে তার এক বড় অংশ শিশু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহর বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় শিশুরা এমনিতেই ঝুঁকিতে থাকে। এবার ডেঙ্গুর ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আসায় শরীরে জ্বর অনুভূত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও দুর্নীতি ও অসততার অভিযোগও কম নয়। মশা নিধনের ওষুধের মান নিয়েও প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মানহীন ওষুধ সরবরাহের অভিযোগে একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মশা নিধনে সবার আগে দরকার মশা উৎপাদনকারী ডোবা ও নালাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতা থাকায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের পরও সুফল নিশ্চিত হচ্ছে না। নাগরিক সচেতনতার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রাজধানী ও আশপাশের ব্যক্তিমালিকানাধীন ডোবা-নালাগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত হলে মশার প্রজনন প্রক্রিয়ায় আঘাত হানা সম্ভব হবে। মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে হলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর