১. অধিক হারে টাটকা শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, হলুদ ও পাতাজাতীয় শাকসবজি অন্ত্র, পায়ুপথ, প্রোস্টেট-গ্রন্থি, পাকস্থলী, শ্বাসযন্ত্র, স্তন এবং জরায়ুরমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। এজন্য বাঁধাকপি ও ফুলকপি খুব উপকারী। ২. অধিক আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। অধিক আঁশজাতীয় খাবার অন্ত্র, পায়ুপথ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। এজন্য লাল আটা, গম, চাল, শস্যদানা, ভুট্টা, গোল আলু, মটরশুঁটি, কিশমিশ, আপেল, কমলা, টমেটো ইত্যাদি জাতীয় খাবার অধিক গ্রহণে ক্যান্সার প্রতিরোধ হতে পারে। ৩. ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করুন। মুখ, অন্ত্রনালি, শ্বাসনালি, পাকস্থলী, পায়ুপথ, প্রস্রাবথলি ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় খাবার উপকারী। ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিমের কুসুম, দুগ্ধজাতীয় খাবার, মাছ, কলিজা, টাটকা ফলফলারি ও সবুজ শাকসবজি।
৪. ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার অধিক গ্রহণ করুন ভিটামিন ‘সি’ যেসব অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে মুখ, অন্ননালি, পায়ুপথ এবং জরায়ুমুখ। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে আমলকী, আমড়া, আম, পেয়ারা, ফুলকপি, কমলা, লেবু, কাঁচামরিচ, পেঁপে, টমেটো ইত্যাদি।
৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। মোটা মানুষের অন্ত্র, জরায়ু পিত্তথলি এবং স্তনের ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। এজন্য নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। সাংবাদিক-কলামিস্ট।