শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

আদালতের আদেশ

রক্ষা পাবেন খামারিরা

দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করা হয়েছে আপিল বিভাগের পক্ষ থেকে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান পাঁচ সপ্তাহের জন্য এ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এর ফলে বিএসটিআইর লাইসেন্সধারী সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বাজারজাতের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকল না। বিএসটিআইর লাইসেন্সধারী ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও সিসা থাকায় সব কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিতরণ পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখতে হাই কোর্ট আদেশ দিয়েছিল ২৮ জুলাই। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৪টি কোম্পানিই আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে ওইসব কোম্পানিকে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আমাদের দেশে খামারি গড়ে উঠছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ পর্যায়ে যদি দুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ হয়ে যায় তবে বিদেশি গুঁড়া দুধে বাজার সয়লাব হয়ে যাবে। কৃষকের চরম ক্ষতি হবে। দেশের শীর্ষ ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও সিসা থাকায় হাই কোর্ট সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর দুধ উৎপাদন ও বাজারজাতের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার প্রতিক্রিয়ায় দেশের লাখ লাখ দুধ উৎপাদনকারী খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উৎপাদিত দুধ বিক্রির সুযোগ না থাকায় দুগ্ধশিল্পের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ১৪টি কোম্পানির উৎপাদিত পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি গাভীর খাদ্যের কারণেই ঘটেছে। এর পেছনে দুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর দায় কতটুকু, তা বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। ত্রুটিমুক্ত দুধ উৎপাদনে গবাদিপশুর নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারকের আদেশের কারণে দেশের দুগ্ধশিল্পই শুধু নয়, লাখ লাখ গরিব খামারি অস্তিত্বেও সংকট থেকে রেহাই পাবেন। ইত্যবসরে গবাদিপশুর নিরাপদ খাদ্যের পথ উন্মোচন হবে-  এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর