শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে জাহাজজট

সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিন

দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর চট্টগ্রামের জাহাজজটে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন। বর্তমানে আমদানি করা পণ্য জাহাজ থেকে নামাতে গড়ে আট দিন বাড়তি সময় লাগছে। একইভাবে পণ্য রপ্তানিতেও জাহাজিকরণে লাগছে বেশি সময়। আসন্ন ঈদের ছুটির কারণে জাহাজজট আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পণ্য ওঠানো-নামানোর ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি বন্দরে যে জাহাজজট শুরু হয়েছে তার পেছনে দায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মে মাসের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে তিন দিন বন্দরে কোনো কাজ হয়নি। ফলে জাহাজজট দেখা দেয়। রোজায় জাহাজজট আরও বেড়ে যায়। ঈদুল ফিতরের সময় ছুটির কারণে দীর্ঘায়িত হয় এ জট। জুলাইয়ে টানা বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জাহাজজট বৃদ্ধি পেয়েছে পণ্য ওঠানো-নামানোয় বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায়। সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দরের জেটিতে ভেড়ানোর জন্য প্রতিদিন ১৬-১৭টি জাহাজ সাগরে অপেক্ষায় থাকে। ক্রমানুযায়ী এসব জাহাজ জেটিতে ভিড়তে আট দিনের মতো লেগে যাচ্ছে। এরপর পণ্য খালাসের আনুষঙ্গিকতা শেষ করতে লাগছে আরও চার দিন। সব মিলিয়ে বন্দর থেকে আমদানি পণ্য বুঝে পেতে কমপক্ষে ১২ দিন চলে যাচ্ছে। বন্দরে কনটেইনার জাহাজের জট শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। গত ডিসেম্বরে কর্তৃপক্ষীয় উদ্যোগে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি পণ্য হাতে পেতে দুই দিনের বেশি লাগেনি। তবে দুর্যোগের কারণে মে মাসে আবারও শুরু হয় জট। জাহাজজটে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। বন্দরে জাহাজজট থাকায় বিদেশি আমদানিকারকদের কেউ কেউ বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির আদেশ বাতিল করছেন। জাহাজজট আমদানি করা পণ্যের খরচ বাড়াচ্ছে। বন্দরে জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় থাকায় আমদানিকারকদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে জাহাজজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর