শিরোনাম
বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইতিহাস

শ্রেষ্ঠ সাহাবিদের একজন

হজরত ওসমানকে ‘আস-সাবেকুনাল আওয়ালুন’, ‘আশারায়ে মুবাশশারা’ এবং সেই ছয়জন শ্রেষ্ঠ সাহাবির মধ্যে গণ্য করা হয় যাদের প্রতি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমরণ খুশি ছিলেন। আবুবকর সিদ্দিকের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। তাঁরই তাবলিগ ও উৎসাহে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। মক্কার আরও অনেক নেতার আচরণের বিপরীত হজরত ওসমান রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়তের সূচনা পর্বেই তাঁর দাওয়াতে সাড়া দেন এবং আজীবন সহায়সম্পত্তি ও জান দ্বারা মুসলমানদের কল্যাণব্রতী ছিলেন। হজরত ওসমান (রা.) বলেছেন, ‘আমি ইসলাম গ্রহণকারী (প্রথম) চারজনের মধ্যে চতুর্থ’। ইবন ইসহাকের মতে, আবুবকর, আলী ও জায়িদ বিন হারিসের পরে ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি ওসমান। হজরত ওসমানের ইসলাম গ্রহণের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সিরাত লেখক ও মুহাদ্দিসরা যেসব বর্ণনা দিয়েছেন তার সার কথা নিম্নরূপ-

‘হজরত ওসমানের খালা সুদা ছিলেন সে যুগের একজন বিশিষ্ট কাহিন বা ভবিষ্যদ্বক্তা। তিনি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে ওসমানকে কিছু কথা বলেন এবং তাঁর প্রতি ইমান আনার জন্য উৎসাহ দেন। তাঁরই উৎসাহে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।’ আল ফিতনাতুল কুবরা। পক্ষান্তরে ইবন সাদসহ অনেকে বর্ণনা করেন, ‘হজরত ওসমান সিরিয়া সফরে ছিলেন। যখন তিনি মুয়ান ও জারকার মধ্যবর্তী স্থানে বিশ্রাম করছিলেন তখন তন্দ্রালু অবস্থায় এক আহ্বানকারীকে বলতে শুনলেন, ওহে ঘুমন্ত ব্যক্তিরা, তাড়াতাড়ি কর। আহমদ নামে এক রসুল মক্কায় আত্মপ্রকাশ করেছেন। মক্কায় ফিরে এসে শুনতে পেলেন ব্যাপারটি সত্য। অতঃপর আবুবকরের আহ্বানে ওসমান ইসলাম গ্রহণ করেন।’ তাবাকাত।

শাকিলা জাহান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর