বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

সুন্দরতম মানব রসুলুল্লাহ

মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ এহছানুল হক মুজাদ্দেদী

সুন্দরতম মানব রসুলুল্লাহ

মুমিন হৃদয়ের একান্ত আশা যদি সবকিছুর বিনিময়ে হলেও রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জীবনে একনজর দেখতে পেতাম! কারণ, তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমার যে উম্মত ইমানের চোখে একবার আমাকে দেখবে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।’ তিরমিজি। প্রিয় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র আকার-আকৃতি অনেক সাহাবি থেকে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আলী (রা.) যখনই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেহের বর্ণনা দিতেন, তখন বলতেন, তিনি অত্যধিক লম্বাও ছিলেন না এবং একেবারে বেঁটেও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন লোকদের মধ্যে মধ্যম আকৃতির। তাঁর মাথার চুল একেবারে কোঁকড়ানো ছিল না এবং সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না; বরং মধ্যম ধরনের কোঁকড়ানো ছিল। তিনি অতি স্থূলদেহী ছিলেন না এবং তাঁর চেহারা একেবারে গোল ছিল না; বরং লম্বাটে গোল ছিল। গায়ের রং ছিল লাল-সাদা মিশ্রিত। চোখের বর্ণ ছিল কালো এবং পলক ছিল লম্বা ও চিকন। হাড়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। পুরো দেহ ছিল পশমহীন, অবশ্য পশমের চিকন একটি রেখা বুক থেকে নাভি পর্যন্ত লম্বা ছিল। দুই হাত ও দুই পায়ের তালু ছিল মাংসে পরিপূর্ণ। যখন তিনি হাঁটতেন তখন পা পূর্ণভাবে উঠিয়ে মাটিতে রাখতেন, যেন তিনি কোনো উঁচু জায়গা থেকে নিচের দিকে নামছেন। যখন তিনি কোনো দিকে তাকাতেন তখন ঘাড় পুরোপুরি ঘুরিয়ে তাকাতেন। তাঁর উভয় কাঁধের মাঝখানে ছিল মোহরে নবুয়ত বা নবী হওয়ার অলৌকিক নিদর্শন। তিনি হলেন সর্বশেষ নবী। তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে অধিক দানশীল, সবচেয়ে বেশি সত্যভাষী। তিনি ছিলেন সবচেয়ে কোমল স্বভাবের এবং বংশের দিক থেকে সম্ভ্রান্ত ও মর্যাদার অধিকারী। যে ব্যক্তি তাঁকে হঠাৎ দেখত, সে ভয় পেত গুরুগাম্ভীর্যের কারণে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পরিচিত হয়ে তাঁর সঙ্গে মিশত, সে তাঁকে অনেক ভালোবেসে ফেলত। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণাবলি বর্ণনাকারীরা এ কথা বলতে বাধ্য হন যে, ‘আমি তাঁর আগে ও পরে তাঁর মতো কাউকে কখনো দেখতে পাইনি।’ তিরমিজি।

হজরত হাসান বিন আলী বলেন, ‘আমার মামা হিন্দ বিন আবু হালা (রা.)-কে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবয়ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি তাঁর পুরো দেহের বর্ণনা দেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন তাঁর কপাল ছিল বেশ উন্নত। ভ্রু ছিল সরু ও ঘন পাপড়িবিশিষ্ট। দুই ভ্রু আলাদা ছিল।

লেখক : খতিব, মণিপুর বাইতুর রওশন জামে মসজিদ, মিরপুর ঢাকা।

সর্বশেষ খবর