শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাস ট্রেন লঞ্চে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই

ঈদযাত্রা নির্বিঘœ হোক

দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই ঈদে ঘরে ফিরতে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে। ঈদে সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাতায়াত নির্বিঘœ করতে কর্তৃপক্ষীয় প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় বৃহস্পতিবার ঈদযাত্রায় বিঘœ ঘটেছে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ সর্বত্রই ছিল ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা। বৃষ্টিতে ভিজেই অনেককে শুরু করতে হচ্ছে ঈদযাত্রা। ঈদের আগে শেষ সরকারি কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার লাখ লাখ মানুষ রাজধানী ছেড়েছে। ট্রেনগুলোর ছাদেও ছিল যাত্রীর ভিড়। বৃষ্টিতে ভিজে তাদের অনেককেই নাকাল হতে হয়েছে। সড়কপথের যোগাযোগের সুখবর কেড়ে নিয়েছে ফেরি যাতায়াত বিঘিœত হওয়ায়। পদ্মা উত্তাল হয়ে ওঠায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ যাত্রীকে বিপাকে পড়তে হয়েছে ফেরি পারাপারে। কোরবানির পশুর হাটের একাংশ মহাসড়কের ওপর উঠে আসায় ভয়াবহ যানজটের শিকার হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। আবার যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ না হওয়ায় সেখানেও যানজটের ধকল পোহাতে হচ্ছে। পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া ঘাটে পর্যাপ্তসংখ্যক ফেরির অভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে অসহায় যাত্রীদের। বৃষ্টিজনিত বৈরী আবহাওয়ায় আটকেপড়া যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। আগাম টিকিট পাওয়া ভাগ্যবান যাত্রীরা ট্রেনে-বাসে বসার আসন পেলেও তাৎক্ষণিকভাবে রওনা দেওয়া যাত্রীরা ছাদে চড়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছেন। বৃষ্টির কারণে ছাদের যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়েন। ঈদের আগে সরকারি অফিসগুলোর শেষ কর্মদিবস হওয়ায় বিকাল থেকে রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটগুলোয় মাত্রাতিরিক্ত চাপ বাড়ে। রাজধানীর রাস্তাঘাট, অলিগলির কাদা-পানি ডিঙিয়ে মানুষজনকে ছুটতে হয়েছে ট্রেনস্টেশন কিংবা বাস টার্মিনালের পথে। সড়ক ও রেলপথের তুলনায় নৌপথে যাত্রা ছিল অপেক্ষাকৃত কম কষ্টকর। গতকাল বৃষ্টি না থাকায় ভোগান্তি এড়িয়েই অনেকে ঘরে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন। আবহাওয়াগত কারণে এ বছর ঈদের দিনেও ধকলের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদ জামাত ও কোরবানির সময় বৃষ্টি বাগড়া বাধাতে পারে- এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পালন এ দেশের মানুষের ঐতিহ্যের অংশ। ফলে শত প্রতিবন্ধকতা তুচ্ছ করে মানুষ ঈদে ছুটে যায় স্বজনদের কাছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আমরা আশা করব, বেসামাল আবহাওয়া সত্ত্বেও সবার ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে।

সর্বশেষ খবর