বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিদ্যালয়ে দুপুরের খাদ্য

শিশুদের পুষ্টি পূরণে সহায়ক হবে

বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহের পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর দুপুরের খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ২০২৩ সালের মধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় চাহিদার ক্যালরির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে; যা প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিশুদের জন্য প্রযোজ্য হবে। ব্রিফিংয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, বর্তমানে তিন উপজেলার স্কুলে রান্না করা খাবার এবং ১০৪টি উপজেলায় বিস্কুট খাওয়ানো হচ্ছে। ১০৪টির মধ্যে ৯৩টি উপজেলায় সরকার ও ১১টি উপজেলায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অর্থায়ন করছে। এ কর্মসূচির ফলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বেড়েছে। রান্না করে খাবার দিলে ১১ শতাংশ উপস্থিতির হার বাড়বে। শুধু বিস্কুট দিলে উপস্থিতির হার বাড়ে ৬ শতাংশ। কর্মসূচির আওতাধীন এলাকায় ঝরে পড়ার হার ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রান্না করা খাবার এলাকায় ১৬ দশমিক ৭ এবং বিস্কুট দেওয়া এলাকায় রক্তস্বল্পতা কমেছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এ বিবেচনায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৬ হাজার। বর্তমানে ১৫ হাজার ৩৪৯টি স্কুলের ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে দুপুরে খাবার দেওয়া হচ্ছে। এতে খরচ হচ্ছে ৪৭৪ কোটি টাকা। আগামী বছর পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ২০২১ সালে শুরু হবে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাদ্য সরবরাহের কর্মসূচি। দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হলে বছরে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ কর্মসূচির বদৌলতে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বৃদ্ধির পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা কতটুকু লাভবান হবে তা নির্ভর করবে কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ওপর। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হবে এ বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া। খাদ্য কর্মসূচিতে বিশেষভাবে লাভবান হবে সমাজের দরিদ্র শ্রেণির সন্তানরা, তারা পুষ্টির ঘাটতি থেকে রক্ষা পাবে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আরও উৎসাহী হবেন- এমনটিও আশা করা যায়।

সর্বশেষ খবর