সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা

বাজারের দিকে নজর রাখুন

চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হাওয়া পাল তুলেছে। পিয়াজ রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ দুটি ভোগ্যপণ্য চিনি ও ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, আমদানি শুল্ক বাড়ার প্রভাবে তেল ও চিনির দাম বাড়ছে। এর মধ্যে পাম তেলের বুকিং রেট ৮০ ডলার পর্যন্ত বেড়েছে। শনিবার পাইকারিতে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩০ টাকায়। পাম তেলের দাম মণপ্রতি ৪০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩৪০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে পণ্য দুটি বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৭৮০ ও ১ হাজার ৯৪০ টাকায়। কেজিতে ১৬ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়ার পর শনিবার থেকে কমতে শুরু করেছে পিয়াজ-রসুনের দাম। গত বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পিয়াজ ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হলেও শনিবার ৮ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৩৭ টাকায়। উল্লেখ্য, বাজেটে অপরিশোধিত চিনির টনপ্রতি আমদানি শুল্ক ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক দেড় হাজার টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে আগে তেল পরিশোধনকারীরা তিন ধাপে ৫ শতাংশ করে ভ্যাট দিতেন আমদানি পর্যায়ে। এখন সেই সুবিধা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ও বর্তমানে তিন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হচ্ছে। তেল ও চিনির দাম বৃদ্ধির পেছনে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির সম্পর্ক থাকায় এ দুটি পণ্যের দাম হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষের দেওয়া ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়েই সরকার পরিচালনার খরচ মেটানো হয়। দেশের উন্নয়ন কাজের খরচও উঠে আসে এই দুই খাতের অর্থ থেকে। ট্যাক্স ও ভ্যাট আদায়ের যৌক্তিকতা সম্পর্কে সংশয় না থাকলেও তা যাতে জনদুর্ভোগের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। চিনি ও ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কিছুটা হলেও বাড়াবে। মূল্যবৃদ্ধির গড্ডলিকা প্রবাহে কেউ যাতে গা ভাসিয়ে দেওয়ার হটকারিতা না দেখায় তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সতর্ক থাকা জরুরি। সাধারণ মানুষের কাছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকা যে কোনো সরকারের সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়।  নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি করে। যার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিব্রত অবস্থায় পড়ে সাধারণ মানুষ।  এ অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সবার সতর্কতা কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর