রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের হাতে অবৈধ মোবাইল

ক্যাম্পগুলোয় অভিযান চালাতে হবে

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে অন্তত ২ লাখ অবৈধভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। রোহিঙ্গাদের হাতে হাতে মোবাইল জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের ক্ষেত্রেও তারা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। মোবাইল ফোনের সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশনে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা অপরিহার্য। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর অসাধু ডিলাররা বাংলাদেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সিমকার্ড নিবন্ধন করে তা উচ্চ দামে রোহিঙ্গাদের কাছে সরবরাহ করছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নাগরিকরা সেই সিমকার্ড নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার করছে। গত জুনে কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় রোহিঙ্গাদের কাছে প্রায় ৫ লাখ অবৈধ মোবাইল ফোন রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় ইয়াবা, অস্ত্র, দেহব্যবসাসহ নানা অপরাধ সংঘটনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বৈধভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কোনো সুযোগ না থাকলেও তিনটি মোবাইল অপারেটর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করেছে। অবৈধভাবে সিমকার্ড দেওয়ার পেছনে মোবাইল অপারেটরগুলোর যে যোগসাজশ রয়েছে এটি তারই প্রমাণ। রোহিঙ্গাদের পক্ষে বৈধভাবে মোবাইলের সিমকার্ড কেনা কিংবা তা ব্যবহারের সুযোগ নেই। গোয়েন্দা সংস্থা রোহিঙ্গাদের অবৈধ মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছে তারা শুধু মোবাইল ফোন নয়, ক্যাম্পগুলোয় থ্রি-জি নেটওয়ার্কের ইন্টারনেটও ব্যবহার করছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে তারা বহির্বিশ্বের সঙ্গেও হামেশা যোগাযোগ রাখছে। অনেক রোহিঙ্গা বিদেশে অবস্থানরত তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিওকলে কথাবার্তা বলছে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনেও বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক সক্রিয় থাকে। প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের সংঘটিত হওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয়দের ওপর হামলার ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পগুলোয় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোন সেট আটক ও ব্যবহৃত সিমগুলো ব্লক করে দেওয়ার কথা ভাবতে হবে।

সর্বশেষ খবর