মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিল্প হোক পরিবেশবান্ধব

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রশংসনীয়

প্রধানমন্ত্রী শিল্পকারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহহ্‌বান জানিয়েছেন। জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৬-১৭ বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানন খুবই প্রাসঙ্গিক। দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় শিল্পায়ন যত এগোচ্ছে পরিবেশও তত বিপন্ন হচ্ছে। শিল্পোদ্যোক্তাদের একাংশ যেভাবেই হোক মুনাফার অঙ্ক স্ফীত করার দিকে নজর দেওয়ায় উপেক্ষিত হচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি। পরিবেশের ওপরও তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী এই আত্মঘাতী ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করছেন। প্রতিটি শিল্প এলাকায় একটি করে জলাধার রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, বৃষ্টির পানি সেখানে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যতগুলো স্থাপনা হবে সর্বত্র বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। অগ্নিকান্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এ পানি ব্যবহার সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের স্মরণ করিয়ে দেন, তার সরকার ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবেন, তাদের কাজে সরকার সহযোগিতা করবে। পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি সম্প্রসারণে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকে ঋণ নিতে গেলে উচ্চহারে সুদ দিতে হয়। ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এটা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার। কিছু কিছু ব্যাংক নির্দেশ মেনেছে। কিছু কিছু ব্যাংক এখনো মানেনি। তবে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। তাদের যা যা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার তাও আমরা করে দিচ্ছি। ব্যবসা-বাণিজ্যের চালিকাশক্তি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট সমাধানেও সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন দেশের ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। প্রধানমন্ত্রী শিল্পকারখানা স্থাপনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার যে তাগিদ দিয়েছেন তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। শিল্পায়ন পরিবেশের ওপর কতটা অভিশাপ বয়ে এনেছে রাজধানীর নদ-নদীগুলোর অবস্থা তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। শিল্পবর্জ্য যাতে জলাশয়গুলোকে বিষাক্ত করে না তোলে সে ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। অস্তিত্বের স্বার্থেই পরিবেশ সুরক্ষায় সরকার, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, সাধারণ মানুষ সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর