বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অলস অর্থের সদ্ব্যবহার

উন্নয়নকাজে গতি আসুক

স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষসহ স্বশাসিত অন্য সংস্থাগুলোর অলস টাকা রাষ্ট্রের উন্নয়নে ব্যবহারের জন্য আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। এর ফলে দেশের উন্নয়নকাজের গতি ত্বরান্বিত হবে। স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত টাকা বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, রাষ্ট্রের স্বশাসিত সংস্থাগুলোর আর্থিক স্থিতির পরিমাণ ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এ টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে রাখা আছে। নতুন এ আইনের মাধ্যমে কিছু প্রভিশন রেখে বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে নিয়ে আসা হবে। জনকল্যাণমূলক অনেক কাজ আর্থিক সংকটের কারণে করা যায় না, নতুন আইনের ফলে সে সীমাবদ্ধতার অবসান ঘটবে। এ লক্ষ্যে ‘স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন, ২০১৯’-এর খসড়া মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এসব সংস্থা চালাতে যে খরচ হয় এবং নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বছরে যে অর্থ লাগে, তা তাদের নিজস্ব তহবিলে জমা রাখা হবে। আপৎকালীন ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিচালন ব্যয়ের আরও ২৫ শতাংশ অর্থ এসব সংস্থা সংরক্ষণ করতে পারবে। আইনটি পাসের ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বায়ত্তশাসনেও কোনো সমস্যা হবে না। নতুন আইনের বদৌলতে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অলস টাকা দেশের উন্নয়নে ব্যয় হলে উন্নয়নের গতি যেমন বাড়বে তেমন কর্মসংস্থানেও সুবাতাস সৃষ্টি হবে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নে অর্থ জোগানের জন্য সরকারকে যে সমস্যায় ভুগতে হয় তা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তাত্ত্বিক বিবেচনায় আইনটি প্রশংসার দাবিদার। তবে এর ফলে দেশবাসীর কতটা কল্যাণ হবে, তা নির্ভর করবে এ অর্থ দিয়ে সরকার কী ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করবে তার ওপর। যে ক্ষেত্রে প্রকল্প প্রণয়ন ও  বাস্তবায়নে সরকারকে চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে।

সরকারি কোষাগারের অর্থ জনগণেরই। এ অর্থের যাতে অপচয় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর