শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পুলিশি শৃঙ্খলা

অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রশংসনীয়

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। সভ্য সমাজে পুলিশহীন রাষ্ট্র কল্পনা করাও কঠিন। রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করার সঙ্গে পুলিশবাহিনীর শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। বলা যায়, পুলিশবাহিনীর সুশৃঙ্খল অবস্থান ছাড়া দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন কায়েম অলীক কল্পনার শামিল। এ বিষয়টি উপলব্ধি করে পুলিশের শৃঙ্খলাকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং তাদের যে কোনো অপরাধ কিংবা পেশাগত বিচ্যুতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন অপরাধ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ২০১৮ সালে ১৩ হাজার ৬৫৫ জনকে লঘুদ-, ৬০৪ জনকে গুরুদ-, ৬৯ জন চাকরিচ্যুত এবং ৫ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে ১০ হাজার ৩৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৭৮ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ওই বছর প্রায় ৩০ হাজার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। ২০১৬ সালে ১১ হাজার জনের বিভিন্ন ধরনের সাজা হলেও ফৌজদারি আইনে তেমন মামলা হয়নি। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৫১২ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাওনা টাকা আদায় কিংবা কারও পক্ষে জমি-ফ্ল্যাট দখল বা বেদখলে কোনো পুলিশ সদস্য জড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এগুলো দেওয়ানি আদালতের বিচার্য বিষয় উল্লেখ করে সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের সর্বত্র জবাবদিহি নিশ্চিত করার স্বার্থে সারা দেশেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ার চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে। বিশেষত কনস্টেবল ও এসআই নিয়োগে অবিশ্বাস্য দুর্নীতির যে রটনা রয়েছে সে কালো অধ্যায় থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চলছে; যা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর