রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সক্রেটিসের বিষের পেয়ালা রূপপুরের বালিশ

নঈম নিজাম

সক্রেটিসের বিষের পেয়ালা রূপপুরের বালিশ

সক্রেটিস নির্দোষ ছিলেন। তিনি তরুণদের বিভ্রান্ত করেননি। ধর্মের নেতিবাচক ব্যাখ্যা দেননি। মৃত্যুর ২৪১৫ বছর পর গ্রিসের একটি আদালত কিছুদিন আগে এ রায় দিয়েছে। অথচ নিয়তির নিষ্ঠুরতায় একদিন জীবন দিতে হয়েছিল সক্রেটিসকে। তার বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদদের অভিযোগের শেষ ছিল না। মৃত্যুদন্ডের পর বিষের পেয়ালা এনে দেওয়া হলো সক্রেটিসকে। বলা হলো, পান করুন। প্লেটোর লেখনীতে সক্রেটিসকে হত্যার কিছুটা বর্ণনা পাওয়া যায়। সক্রেটিস বিষের পেয়ালা শান্তভাবে মুখে তুলে নিলেন। তারপর তাঁকে হাঁটতে বলা হলো। তিনি সামনে একটু হাঁটলেন। একপর্যায়ে থেমে গেলেন। শরীর আর চলছে না। শুয়ে পড়লেন। মৃত্যুদ- কার্যকর করার দায়িত্বরতরা চিমটি কাটলেন তার শরীরে। জানতে চাইলেন, টের পাচ্ছেন? জবাবে মাথা নাড়লেন। টের পাচ্ছেন না। শুধু ক্রিটোকে বললেন, একজনের দেনা একটি মুরগি আছে। তা যেন শোধ করে দেওয়া হয়। আর কারও সঙ্গে দেনা-পাওনা নেই। তারপর সব শেষ। থেমে গেলেন তিনি চিরতরে। সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন একজন রাজনীতিবিদ। অভিযোগ, সক্রেটিস যুবসমাজকে বিপথে নিচ্ছেন এবং রাষ্ট্রস্বীকৃত দেবতাদের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন। তিনি রাষ্ট্রের দুর্নীতি, অনিয়ম সম্পর্কে তরুণদের সচেতন করেন। আইনের চোখে সব অভিযোগই গুরুতর। পাঁচশত একজন বিচারপতিকে নিয়ে বিশাল আসর বসল। তখন এথেন্সে আইনজীবী ছিল না। তাই বাদী ও ফরিয়াদিকে তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে হতো। সক্রেটিসও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের জবাব দেন। তাকে তার কর্মের জন্য দুঃখিত কিনা জানতে চাওয়া হয়। তিনি বললেন, অবশ্যই না। দুঃখ প্রকাশ করলে সাজা লাঘবের কথাও বলা হলো। তিনি হাসলেন। নিজের অবস্থানে অটল থাকলেন। বিচারকরা তাঁর অবিচল অবস্থান দেখে ভীত হয়ে ওঠেন। সক্রেটিসের দৃষ্টি ছিল সামনে। আপস করে টিকে থাকতে চাননি এই দার্শনিক।

সেই আগের যুগ নেই। সময়টা এখন বদলে গেছে। শেষের কবিতায় লাবণ্যর একটি লাইন আছে, “ ...কালের গতিকে মানুষের মন যতই স্পষ্ট করে সব কথা বুঝতে পারবে ততই শক্ত করে তার ধাক্কা সইতেও পারবে। অন্ধকারের ভয়, অন্ধকারের দুঃখ অসহ্য, কেননা সেটা অস্পষ্ট।” কেউ বুঝতে চায় না রাষ্ট্র মানুষের জন্য তৈরি। রাষ্ট্রের জন্য মানুষ নন। মানুষের ওপর কোনো ধরনের নিপীড়নের দীর্ঘস্থায়িত্ব থাকে না। একটা পর্যায়ে প্রকৃতি একটা পথ বলে দেয়। এ কারণেই মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য একটা জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। এই সহজ-সরল হিসাবটা দুনিয়ার রাজনীতিবিদরা এখন বুঝতে পারেন না। আর পারেন না বলেই ২৪১৫ বছর পর দুনিয়ার আদালতই আবার বলে দিল সক্রেটিস নির্দোষ। অকারণে রাজপুরুষদের হিংসা-বিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন তিনি। আধুনিক বিশ্বায়নের এই শতাব্দীতেও দুনিয়াজুড়ে এক অদ্ভুত রাজনীতি চলছে। বরিস জনসন, ট্রাম্প, কিম, ইমরান খান, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা অকারণে জটিল অবস্থা তৈরি করছেন। উত্তেজনা তৈরি করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে তারা জমিয়ে তুলছেন। কেউ বুঝতে চান না, সাময়িক উত্তেজনায় ক্ষমতার রাজনীতি আর বাস্তবতার মাঝে অনেক ফারাক রয়ে গেছে। আসামের নাগরিকপঞ্জি তৈরির নেতিবাচক তীর এখন ক্ষমতাসীন বিজেপিকেই বিদ্ধ করছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এত জটিলতা না করে মানুষের মন জয় করে সামনে চলা অনেক বেশি সহজ। অথচ কেউই এই হিসাবটা নিতে চান না। আর চান না বলেই দুনিয়াকে কঠিন, বাসের অযোগ্য করে তোলেন।

বিশ্ব বাস্তবতায় আমরা অনেকটা আলাদা অবস্থানে আছি। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়তো আলাদা। আন্তর্জাতিক পরিসরে আমরা ইতিবাচক কূটনীতিতে রয়েছি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে রয়েছে নানামুখী মেরুকরণ। রাজনৈতিক দলগুলোর ভিতরে রয়েছে হানাহানি সংঘাত। ক্ষমতার রাজনীতি এক ধরনের অন্ধত্ব তৈরি করে। আর করে বলেই এরশাদের মৃত্যুর দুই মাস না যেতেই জাতীয় পার্টি এক জটিল অবস্থানে। হানাহানি শুরু হয়েছে চেয়ার নিয়ে। ক্ষমতার ভাগ দেবর-ভাবী বোঝে না। এরশাদের সর্বশেষ অসিয়তও কেউ মানে না। লোক হাসানো দলীয় রাজনৈতিক চিন্তাধারা নিয়ে চলছে চিঠি, পাল্টা চিঠির প্রতিযোগিতা? সংবাদ সম্মেলন করে মানুষ হাসানোর কথাবার্তা। কেন এ অবস্থা তৈরি হলো? জবাব একটাই- ক্ষমতার দাপট তৈরি করা। অন্যকিছু নয়। জাতীয় পার্টিকে বিএনপির মতো কঠিন অবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে না। ’৯৬ সালের পর ক্ষমতার আরেক মাত্রায় দলটি। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীভিত্তিক রাজনীতিতে কর্মীরা অনেক বেশি পরিশ্রমী। অবশ্য বিরোধী দলে থাকার সময় রাত/দিন কিছু মানুষের তিলতিল শ্রম মেধা ঘামে ভর দিয়ে একটি দল ক্ষমতায় আসে। তখন তাদের কোনো দোষ থাকে না। ত্রুটি থাকে না। দলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ও শক্ত অবস্থান থাকে। কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতিতে এই মানুষগুলো হারিয়ে যায়। দলে ঠাঁই করে নেয় মধুলোভী আরেকটি গ্রুপ। কম তো দেখা হলো না। আজকাল চারদিক দেখে আরও ক্লান্তি চলে এসেছে। ভালো লাগে না। আত্মমর্যাদা নিয়ে টিকে থাকা অনেক কঠিন একটি কাজ। সেই দিন পত্রিকার পাতায় দেখলাম শামীম ওসমান বলেছেন, চারদিকে সবাই দেখি আওয়ামী লীগার। এতে কেমন কেমন যেন লাগে।’ শামীম ওসমান ঠিকই বলেছেন। বাস্তবতা আমাদের কাছেও যেন কেমন কেমন লাগে। চারপাশটাতে নানা কিসিমের ভিড়। কোথায় থেকে ওরা এসেছে কোথায় যাবে কেউই জানে না। তবে ওদের এ মুহূর্তের কাজ শুধুই তোষামোদ করে বাণিজ্য করা। এই বাণিজ্যে হচ্ছে সর্বনাশ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সবাই যা খুশি তা করছে। এতে বদলে গেছে রাজনীতির স্বপ্নচারিতা। হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। শুরু হয়েছে নষ্টদের উল্লাস। আশ্রয়-প্রশয় পাচ্ছে অন্যায়কারী লুটেরারা। খারাপকেই সবাই প্রাধান্য দিচ্ছে। আগে একটা অনিয়মে সবাই প্রতিবাদ করত। এখন কেউ কথা বলে না। সবাই নিজের হিসাব-নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত। কেউ বুঝতে পারছে না জনগণ আলাদা হিসাবের খাতা নিয়ে বসে আছে। একবারও কেউ মনে করছে না সেই হিসাবের খাতা সময় সুযোগ হলে জনগণ খুলে পড়তে শুরু করতে পারে। সেই হিসাব হবে শেষের কবিতার সেই লাইনটির মতো, ‘পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে/কালের যাত্রায়/ হে বন্ধু বিদায়।’

কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সবাই পাপী; আপন পাপের বাটখারা দিয়ে; অন্যের পাপ মাপি।’ সমস্যা এখানেই। আর নীতি আদর্শের বিষয়গুলো বিদায় হয়েছে অনেক দিন আগে। এ নিয়ে এখন আর কথা বলে লাভ নেই। সময় বহমান। রাজনীতিকে কিছু মানুষ এখন অন্যায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তোষামোদ করে অন্যায়কারী আজ দাপট নিয়ে আছে। ইতিহাসের পাতায় যুগে যুগে সুযোগ সন্ধানীরাই ভালো থাকে। সব আমলে, সব যুগে তাদের চরিত্র এক থাকে। শুধু নাম হয় আলাদা। বঙ্গবন্ধুর বাবার মৃত্যুর পর সবচেয়ে বেশি কান্নাকাটি করেছেন খন্দকার মোশতাক। তিনি মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে কেঁদেছেন। তার আহাজারি আর্তনাদ বঙ্গবন্ধুকেই থামাতে হয়েছিল। আর এরশাদের মায়ের মৃত্যুর পরও একদল নেতা একই কান্ড করেছেন। সেই নেতাদের একজনও পরে আর জাতীয় পার্টিতে থাকেননি। দল বদল করেছেন। এরশাদকে স্বৈরাচার বলে গালি দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার মায়ের মৃত্যুতেও অনেকের কান্নার শেষ ছিল না। এখন কী তারা খালেদার খোঁজ নেন? তারেকের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যারা লাইন দিতেন তারা এখন কোথায়? শুনছি অনেকে এখন লাইন বদল করেছেন। কেউ কেউ হিজরত করে সরকারি দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। অনেকে বেশভূষা বদল করেছেন। মুজিব কোট পরেন। সুবিধাবাদের রাজনীতি এমনই হয়। তারপরও দুনিয়াতেই চাটুকারিতার জয়জয়কার। ক্ষমতাসীন দল হলে তো কথা নেই। এখানে সমালোচনা চলে না। সরকার চায় খাঁটি সর্ষের তেলের তোষামোদ। আর বিরোধী দল চায় লড়াকু-ত্যাগী কর্মী। যা এখনকার বিএনপির নেই। আওয়ামী লীগের ছিল একদা। লড়াকুরা কোনোকালেই চাটুকার হতে পারে না। তাদের একটা ইগো থাকে। ক্ষমতাসীনদের দুই চোখের বিষ এই ইগো। তারা চান আহা বেশ বেশ পার্টি। ক্ষমতার মানুষদের কাছে অতীতের মূল্যায়ন থাকে না। কেউ অতীত মনেও রাখে না। এ কারণে কিছু মানুষ বুকভরা আর্তনাদ নিয়েই সময় পার করে দেয়। দুঃসময়ের মানুষরা হন অভিমানী। তাদের অভিমানের এই অংশটুকু ক্ষমতাবানদের চোখেই পড়ে না। এক পর্যায়ে তারা হারিয়ে যান। তাদের ভিতরের কষ্টটা আড়ালেই থেকে যায়।

সংসার জীবন বড় অদ্ভুত। এখানে সবাই যার যার হিসাব মেলায়। আপন পর নেই। স্বার্থের প্রশ্নে কোনো আপস থাকে না। সবাই যার যার হিসাব নিয়ে বাড়ি ফিরতে চায়। ততক্ষণ ভালো থাকবেন যতক্ষণ দিতে পারবেন। বেলা শেষে হিসাব না মিললে প্রিয়জনরাও মুখ ফিরিয়ে নেবে। সংসারে গুরুত্বপূর্ণতার নির্ভরশীলতার জায়গাটুকু হলো, দেওয়া-নেওয়া। চুন থেকে পান খসলেই সব শেষ। এই মায়ার জগৎ হাতছাড়া হয়ে যাবে মুহূর্তের মাঝেই। একটি ভুল করুন না দেখবেন পাশে কেউই নেই। দীর্ঘদিনের চেনা মুহূর্ত হয়ে যাবে অচেনা। অথচ সবাই কতই না লড়াই করে এই জগৎ সংসারের জন্য। সব লড়াই অর্থহীন। বাস্তবতার নিষ্ঠুরতার আঘাত না আসা পর্যন্ত বোঝা যায় না। তাই সংসারের ঠুনকো কাচের দেয়ালকে শক্ত পাথরের মতো আঁকড়ে থাকেননি গৌতম বুদ্ধ। একদিন তার কাছে মনে হয়েছিল, এই রাজত্ব, ক্ষমতা, জগৎ সংসার নিয়ে অযথা সময় নষ্ট মূল্যহীন। নিজেকে জাগতিক চাওয়া-পাওয়ার বাইরে নিয়ে যান বুদ্ধ। সব মানুষ তা পারে না। আর পারে না বলেই লড়াই করে বেদনার নীল সমুদ্রে সাঁতারে কাটিয়ে দেয় ছোট্ট একটা জীবন। হতাশায়, বঞ্চনার ক্লান্তিকে ঢেকে রাখে আড়ালে।

আজকাল আমার মনে হয়, জগৎ নিয়ে কম ভাবনাই ভালো। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ক্ষমতায় থাকলে আইজিপি সালাম দেয়, না থাকলে কনস্টেবল মাথায় দেয় বাড়ি। এত দিনে এই কথা বুঝলেন? আমার এক বন্ধু বললেন, আজকাল পত্রিকা পড়ি না। টিভি দেখি না। টকশো এখন চোখের বিষ। তারপর আমার দিকে তাকালেন। বললেন, আপনি টকশোতে যান নাকি এখনো? বললাম, যাই তবে একদম কম। অনেক দিন পর পর। বন্ধু বললেন, না গেলেই ভালো। তাহলে আলাপ করতে হবে না ওয়াসার কতুবদের নিয়ে। আমিও বললাম, আমাদেরও ভালো লাগে না বলতে, ওয়াসার একটি প্রকল্পে ৩৮শত কোটি টাকায় করা প্রকল্প আট মাস আগে শেষ হলেও চালুই হয়নি। একবার চেষ্টা করে চালুর কয়েক ঘণ্টা পর পাইপ ফেটে যায়। ৩৮শত কোটি টাকা যেন এখন কোনো টাকাই না। দুর্নীতির রাহুগ্রাসে সাভারসহ ওয়াসার আরও অনেক প্রকল্প চালু করা যায়নি। ভাবখানা এমন টাকা যাচ্ছে সরকারের। অন্যদের মাথা ঘামানোর কী আছে? ওয়াসার মাল পানিতে ফেল। স্বাস্থ্য খাত তো এখন সোমনাথ মন্দির। ইকুপমেন্ট সাপ্লাইয়ের খবর নেই, বিল তুলে নিয়ে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি লাগামহীন। এ ধরনের কাহিনি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে সমাজে। মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম নিয়েও কথা বলে লাভ নেই। রূপপুরের বালিশে হেলান দিয়ে ফরিদপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বই পড়েন। দাম কত পড়ল বিষয় না। সরকারি অর্থ নিজের মনে করেই সবাই নিয়ে যাচ্ছে। সরকারও কিছু বলে না। মিডিয়া কিছু বিষয় মাঝে মাঝে তুলে ধরে। সক্রেটিস এই যুগে জন্ম নেননি বলে এসব কাহিনি দেখে যেতে হলো না। জন্ম হলে হয়তো আঁতকে উঠতেন রূপপুরের বালিশ ও ফরিদপুরের পর্দা কাহিনি, বই কেনা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিমানের নানা কেনাকাটার খবরে। তারপর কী লিখতেন জানি না। হয়তো তিনি কিছুই লিখতেন না। এই সমাজ ছেড়ে চলে যেতেন বনবাসে। অথবা তরুণ সমাজকে উসকানি দেওয়ার দায়ে রিমান্ডে যেতেন। রিমান্ড থেকে বেরিয়ে ভুলে যেতেন প্রজন্মের জন্য দার্শনিক চিন্তা।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সর্বশেষ খবর