শিরোনাম
রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দক্ষিণাঞ্চলে মৎস্য বিপ্লব

আরও সম্ভাবনার হাতছানি

মাছ চাষে গত চার যুগে দেশের দক্ষিণাঞ্চল নীরব বিপ্লব সাধনের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এ বিপ্লবের বদৌলতে ওই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার সংস্থান হয়েছে। দেশের অর্থনীতির জন্য বয়ে এনেছে আশীর্বাদ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে চিংড়ি ও সাদা মাছ রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২৯ হাজার ৬ দশমিক ৮২১ মেট্রিক টন। যার বাজারমূল্য প্রায় ২২৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে গলদা, বাগদা ও অন্যান্য চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৪ হাজার ৪১৩ মেট্রিক টন। এ বাবদ অর্জিত হয়েছে ২১৭১ কোটি ১৭ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। হিমায়িত কার্প জাতীয় মিঠা পানির মাছ ও হিমায়িত পারশে, ক্যাট ফিশ, শুঁটকি ও অন্যান্য সাদা মাছ রপ্তানি হয়েছে আরও প্রায় ১১৮ কোটি টাকার। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চিংড়ি ও সাদা মাছ রপ্তানি হয়েছে ২৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ২৪৮৮ কোটি টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত এ অঞ্চল থেকে বছরে গড়ে ২৫২৪ কোটি টাকার মাছ বিদেশে রপ্তানি হতো। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে গলদা চিংড়ির দরপতন ও বিদেশে ইলিশ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় রপ্তানির হার কিছুটা কমলেও মিঠা পানির মাছ চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ প্রজাতির মাছ রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে হেক্টরপ্রতি মাছ উৎপাদন দ্বিগুণ করার পদক্ষেপ নিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। এ উদ্দেশ্যে মাঠপর্যায়ে চাষিদের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ি ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগে দক্ষিণাঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ি ও সাদা মাছের উৎপাদন আগের তুলনায় বেড়েছে। গত অর্থবছরে খুলনা জেলায় প্রায় ৬৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সাদা মাছ উৎপাদিত হয়। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন বেশি। এতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে খুলনায় উন্মুুক্ত খাল ও সংযুক্ত বিলগুলোতে হেক্টরপ্রতি মাছের উৎপাদন ৭০০ কেজি। এ পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি অর্থাৎ ১৫০০ কেজিতে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে। এটি সফল হলে মাছ রপ্তানি করে বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ।

সর্বশেষ খবর