সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বোমা বিস্ফোরণ-টার্গেট পুলিশ

এ কে এম শহীদুল হক

বোমা বিস্ফোরণ-টার্গেট পুলিশ

সম্প্রতি ঢাকা মহানগরীতে তিনটি স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ও দুটি স্থানে পুলিশ বক্সের সন্নিকট হতে বোমা উদ্ধারে জনমনে নানা প্রশ্ন ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা, ২৬ মে মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ এবং ৩১ আগস্ট সায়েন্স ল্যাবরেটরি পুলিশ বক্সের সন্নিকটে বোমা বিস্ফোরণ হয়। প্রত্যেকটি ঘটনায় পুলিশ  সদস্য আহত হয়। ২৩ জুলাই তেজগাঁও খামারবাড়ী ও পল্টন পুলিশ বক্সের কাছ থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হয় পুলিশকে হতাহত করার লক্ষ্য নিয়েই বোমাগুলো রাখা হয়েছিল। ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্সের  মাধ্যমে জানা যায় আইএসআই এসব ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।

বোমা বিস্ফোরণ ও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কারা ও কী উদ্দেশ্যে এসব নাশকতামূলক কাজ করছে। বোমাগুলো একই প্রকৃতির। বিস্ফোরণও প্রায় একই প্রক্রিয়ায়। ধারণা হয় এগুলো দূর নিয়ন্ত্রিত বা রিমোট কন্ট্রোল বোমা। পুলিশকেই বা কেন টার্গেট করা হচ্ছে? জঙ্গিরা কি আবার সংগঠিত হচ্ছে? তারা কি বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে- ইত্যাদি অনেক প্রশ্নই সচেতন মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াও এসব ঘটনাকে হাইলাইট করে প্রতিবেদন উপস্থাপন করছে। টকশো হচ্ছে। বিশিষ্টজন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা নানা মতামত ব্যক্ত করছেন। বক্তব্য দিচ্ছেন।

ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ ও আইএসআই এর দায় স্বীকারের পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা হয় ঘটনাগুলো জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরাই পরিকল্পিতভাবে ঘটাচ্ছে। বোমাগুলো তত শক্তি মাত্রার না হলেও কোনো ব্যক্তির ওপর সরাসরি নিক্ষেপ করলে ওইগুলো দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানো এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা সম্ভব।

যে প্রশ্নটি ঘুরে ফিরে সবাই করে তা হলো পুলিশ কেন টার্গেট। এর উত্তরও সহজ। পুলিশের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা। মনোবল দুর্বল করা। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন আছে যেমন- ইরাক ও সিরিয়াতে- আল-কায়েদা, আইএসআই,  আফগানিস্তানে- তালেবান,  পাকিস্তান ও ভারতে- লস্করে তৈয়বা, জয়েসই মোহাম্মদ,   জেএমবি,  বাংলাদেশে- জেএমবি,  হুজি, আানসার আল ইসলাম, আল্লাহর দল ইত্যাদি। জঙ্গি সংগঠনগুলো একটি ধর্মীয় দর্শনে বিশ্বাস করে অপতৎপরতা চালায়। তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকেও তাগুদি সরকার বলে। দেশের আইনকে বলে তাগুদি আইন এবং পুলিশসহ সরকারের অন্য বাহিনীর শক্তিকে বলে তাগুদি শক্তি। তাগুদি শব্দের অর্থ হলো ইসলামবিরোধী বা শয়তান দ্বারা তৈরি। তারা শয়তানি শক্তি ও শয়তানি আইনের অবসান করে খেলাফত প্রতিষ্ঠা তথা আল্লাহর আইন বলবৎ করতে চায়। জঙ্গিরা মনে করে পুলিশের ওপর হামলা করে তাদের মনে ভীতি সঞ্চার করে মনোবল ভেঙে দিলে তাদের ভাষায় তাগুদি শক্তি দুর্বল হবে এবং তারা তাদের ধ্বংসাত্মক ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকা- নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে।

জঙ্গিরা শুধু পুলিশকেই তাগুদি শক্তি বলে না, তারা সরকারের অন্য শক্তিকেও তাগুদি শক্তি মনে করে। প্রশ্ন হলো তারা সেনাবাহিনী, বিজেপি বা অন্যদেরও টার্গেট করছে না কেন?  তার কারণ পুলিশই জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। অভিযান চালায়, গ্রেফতার করে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গিদের হামলার পর পুলিশ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশে জঙ্গিদের শক্তি ধ্বংস করে দিয়েছে। অভিযানে অনেক জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে, আহত ও নিহত হয়েছে। কাজেই জঙ্গিরা উপলব্ধি করতে পারছে পুলিশের জন্য  তারা দাঁড়াতে পারছে না। সংগঠিত হতে পারছে না।  এ কারণেই  তারা পুলিশকে টার্গেট করছে। তাছাড়া রাস্তাঘাট ও লোকালয়ে সর্বদা পুলিশের উপস্থিতি থাকে। সফট টার্গেট হিসেবে পুলিশের ওপর হামলা করা সহজ। তাই পুলিশই এসব হামলার টার্গেট হচ্ছে।

সম্প্রতি সংঘটিত বোমা বিস্ফোরণগুলো মারাত্মক না হলেও এ হামলাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এ ঘটনার মাধ্যমে জঙ্গিরা মেসেজ দিতে চাইছে, তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। তারা আছে এবং সক্রিয় আছে। বোমাগুলো স্থানীয়ভাবে হাতে তৈরি। এতে বোঝা যায় তাদের বোমা তৈরির প্রশিক্ষিত ক্যাডার আছে। ধীরে ধীরে তারা বোমা তৈরির পাকা কারিগর হয়ে বড় ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে। এ জন্য ছোট ঘটনাগুলো ছোট বা তুচ্ছ না ভেবে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় আনতে হবে।          

বাংলাদেশে জঙ্গিদের উত্থান মূলত নব্বইয়ের দশকেই হয়। তাদের উত্থানে রাজনৈতিক শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তাও ছিল। বিশেষ করে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন ও সহযোগিতায়  হুজি ও জেএমবি জঙ্গিদের অপ্রতিরোধ্য সম্প্রসারণ হয়। জেএমবির  শীর্ষ নেতা তথা শূরা সদস্যদের অনেকেই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে  জড়িত ছিল। শায়েখ আবদুর রহমান জামায়াতের সাবেক নেতা ছিলেন। তার পরে জেএমবির দায়িত্ব নেন মাওলানা সাইদুর রহমান। তিনিও হবিগঞ্জ জেলার জামায়াতে ইসলামীর আমির ছিলেন। জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ৩০ মে দিনাজপুর জেলার পার্বত্যপুর থানায় আটজন জেএমবি সদস্য বোমা,  প্রচারপত্র ও জঙ্গি সংক্রান্ত প্রকাশনাসহ গ্রেফতার হয়। কিন্তু সহজেই তারা আদালত থেকে  জামিন পেয়ে পলাতক হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পিছনেও সরকারের প্রভাবশালী মহলের হাত ছিল বলে অভিযোগ আছে। ২০০৪ সালে জঙ্গিদের ভাড়া করে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শক্তিশালী গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। তিন শতাধিক আহত হয়। লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সব নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে দেওয়া। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু তদন্তও হয়নি। জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে তদন্তের গতি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করে জঙ্গিদের আরও সংঘটিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলার ৫০০ স্থানে দশ মিনিটের ব্যবধানে শত শত বোমা বিস্ফোরিত হয়। সরকারের সহায়তায়ই তখন জঙ্গিদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তৎপরতা ব্যাপকতা লাভ করে। জোট সরকার শেষের দিকে বুঝতে পেরেছিল, জঙ্গিরা বুমেরাং হয়ে তাদের গলায় ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি সমালোচনা ও চাপের মুখে তখন তারা জঙ্গিদের গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে দেশের যা  ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি অর্থাৎ জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে। জঙ্গিরা সব সময়ই শেখ হাসিনাকে শত্রু মনে করে। তারা মনে করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ তাদের  কর্মকান্ডের  প্রধান বাধা। তাই শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য জঙ্গিরা  কয়েকবার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণেই দেশে জঙ্গি দমন সম্ভব হয়েছে। দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ জঙ্গি দমনে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য জঙ্গি দমনের এ সাফল্যকে ধরে রাখা একান্ত প্রয়োজন। অস্তিত্ব সংকটে থাকা জঙ্গিরা পুনঃসংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সমর্থক ও অনুসারীদের চাঙ্গা করে হয়তো নতুনভাবে তৎপর হওয়ার চেষ্টা চলাচ্ছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অত্যন্ত তৎপর থাকতে হবে। গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে জঙ্গিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢাকা মহানগরীতে যে চারটি ঘটনা ঘটেছে সবগুলোই একই পদ্ধতিতে ও একই রকম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বোঝা যায় একই ব্যক্তি বা গ্রুপ এ কাজগুলো করেছে। যে কোনো প্রকারেই হোক এসব হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে হবে। ওদের গ্রেফতার করতে না পারলে ওদের সাহস বেড়ে যাবে এবং আরও ঘটনা ঘটাবে। বড় নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, যে রাজনৈতিক শক্তির ছত্রছায়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল সেই অপশক্তি এখনো দেশে আছে। তারা সংশোধিত হয়নি। তারা নিজেদের ভুল ও অপকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমাও চায়নি। পক্ষান্তরে গোপনে তারা শান্তি ও প্রগতির বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। তারা যে জঙ্গিদের ব্যবহার করে দেশের মধ্যে নাশকতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা করবে না তা ভাবার কোনো কারণ নেই। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে প্রতিক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে। ব্যাপক পুলিশি ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে জঙ্গি ও তাদের দোসরদের শনাক্ত করতে হবে। খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে হবে,  আইনের আমলে আনতে হবে। আমার বিশ্বাস  জঙ্গিরা অবশ্যই পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জালে আটকা পড়বেই।

যে সব যুবক ও ব্যক্তি জঙ্গিবাদে দীক্ষা নিয়েছে তারা ভুল করেছে। বিপথে চলছে। ইসলামে হত্যা, নাশকতা ও ফ্যাসাদ সৃষ্টি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আমাদের মহা নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় জিহাদের নামে মানুষ হত্যা, ফ্যাসাদ ইত্যাদি নিষেধ করেছেন। মক্কা বিজয়ের পরও তিনি একটি লোককেও হত্যা তো দূরের কথা, কোনো প্রকার দুর্ব্যবহারও করেননি। পক্ষান্তরে তাঁর লোকদের মক্কাবাসীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার আদেশ দিয়েছিলেন।

জন সমর্থন ব্যতীত চোরাগোপ্তা মানুষ মেরে, দেশের মধ্যে অশান্তি ও অরাজকতা সৃষ্টি করে কোনো শক্তিই কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। ইতিহাস সে সাক্ষ্য দেয় না। বাংলাদেশে অতি বিপ্লবী বামপন্থি যেমন- পূর্ব বংলার সর্বহারা পার্টি, জাসদের গণবাহিনী এবং ভারতের চারু মজুমদারের নকশাল বাহিনীর ধিকৃত পরিণতি দেশবাসী অবগত আছেন। অতি সম্প্রতি আইএসআই -র শোচনীয় পতনও তার জ¦লন্ত প্রমাণ। এত অর্থ বিত্ত, সমরাস্ত্র ও ভিন্ন দেশের পরোক্ষ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েও তাদের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। তাদের সর্বশেষ ঘাঁটির পতনের পর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আর অনলাইনে নানা রকম আজগুবি প্রচারণা চালাচ্ছে। আইএসের মধ্যে নানা রকম অনৈসলামিক কাজ হতো তাও মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানতে পেরেছে। তথাকথিত জিহাদ করে জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে মানুষকে শুধু ভুল ও ধ্বংসের পথেই নিয়ে যাচ্ছে না, ইসলামেরও প্রভূত ক্ষতি করছে। তাই যারা ভুল করেছেন, জঙ্গিতে নাম লিখিয়েছেন, এখনো তাদের সুযোগ আছে ওই পথ থেকে সরে আসার। আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন।

পুুলিশি কার্যক্রমের পাশাপাশি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। পরিবার থেকে শুরু করে  রাষ্ট্র পর্যন্ত সবাইকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। ব্যাপক গণসচেতনামূলক  কর্মকা- পরিচালনা করতে হবে। আলেম, ওলেমা, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠন, রাজনীতিবিদ, ইত্যাদি সবাইকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। নতুন করে যাতে জঙ্গি সৃষ্টি না হয় তার জন্য counter narrative-এর মাধ্যমে স্কুল, কলেজ,  বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা তথা সমাজের সর্বস্তরে  সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে কাজ করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে উব-radicalization ও Rehabilitation কর্মসূচি চালু করা অপরিহার্য। এ  উদ্যোগকে  প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। এভাবে দেশ ও জনকল্যাণেই  Holistic ধিু-তে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে  গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

          লেখক : সাবেক আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ।

 

 

সর্বশেষ খবর