শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চাকরির জন্য ডোপ টেস্ট

মাদকবিরোধী লড়াই জোরদার করবে

মাদকবিরোধী লড়াইয়ে দেরিতে হলেও সঠিক পথে হাঁটছে সরকার। শুধু মাদক ব্যবসায়ী নয়, মাদকসেবীদেরও তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চাকরি ক্ষেত্রে কোনো মাদকসেবী যাতে ঠাঁই না পায় তা নিশ্চিত করতেও নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। এজন্য যে অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হয়েছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে কোনো মাদকসেবী সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে যাতে চাকরি না পায় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্তিতেও মাদকাসক্তদের অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মাদকসেবীদেরও তালিকা তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। চাকরির জন্য গঠিত মেডিকেল ফিটনেস পরীক্ষায় ডোপ টেস্ট বা মাদকাসক্তির পরীক্ষা চালু করা হচ্ছে। ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও পর্যায়ক্রমে  ডোপ টেস্ট করা হবে। বর্তমানে শুধু সরকারি কিছু চাকরির নিয়োগে মেডিকেল ফিটনেস পরীক্ষায় ডোপ টেস্ট চালু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে অন্য সব নিয়োগ পরীক্ষায় চালু করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে মাদকবিরোধী অ্যাকশন প্ল্যান অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। এতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি হিসেবে রূপান্তর এবং টেকনাফের নাফ নদসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মাদক আগ্রাসন বন্ধে ইতিমধ্যে সর্বাত্মক মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিপুলসংখ্যক মাদক ব্যবসায়ী প্রাণ হারিয়েছে। তার পরও যে মাদক আগ্রাসন থামছে না তা একটি বাস্তবতা। কারণ মাদক ব্যবসায় লাভের পরিমাণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ। বলা বাহুল্য, অবিশ্বাস্য লাভজনক হওয়ায় মাদকসংশ্লিষ্টরা ঝুঁকি নিতে পিছপা হয় না। দুনিয়ার বেশ কিছু দেশে কারও কাছে মাদক পেলেই মৃত্যুদন্ডে দ-িত করা হয়। তার পরও মাদক ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না লাভের মাত্রাতিরিক্ত হারের কারণে। বাংলাদেশেও মাদক ব্যবসা একেবারে বন্ধ হবে- আমরা এমন দিবাস্বপ্ন দেখতে চাই না। তবে এটি প্রায় শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে সব দিকে চোখ-কান খোলা রাখলে। মাদকসেবীদের চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি বন্ধ করা সম্ভব হলে অনেক অঘটন কমবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর