শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাখির প্রতি ভালোবাসা

ভালুকা সবার জন্য হোক দৃষ্টান্ত

পাখি বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও স্লোগান সামনে রেখে ময়মনসিংহের ভালুকায় একদল তরুণ পাখিদের আবাসস্থল তৈরি করে দিচ্ছেন। গ্রাম ও মফস্বল শহরগুলোর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তরুণের বিরুদ্ধে ইভ টিজিং, বখাটেপনাসহ নানা নেতিবাচক প্রবণতায় জড়িত থাকার অভিযোগ যখন ওপেন সিক্রেট, তখন ভালুকার তরুণদের একাংশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ভিন্ন পথে চলার। তারা পাখির জন্য গাছে গাছে বাসা তৈরি করে দিচ্ছেন। পাখির বংশবিস্তার, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের বাঁচাতে এই ব্যতিক্রমী কাজের উদ্যোক্তা ভালুকা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল। তার আহ্বানে কঠিন কাজটি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছেন অভ্যুদয়ের সদস্যরা। তারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের ডালে ডালে মাটির হাঁড়ি বাঁধছেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে ২৬ দিনে ৫ হাজার পাখির নিরাপদ আবাসন স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন তারা। পর্যায়ক্রমে উপজেলার বাকি আরও আটটি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। দেশের বন-জঙ্গল মারাত্মকভাবে উজাড় হচ্ছে। এতে দেশ দিন দিন পাখিশূন্য হয়ে পড়ছে। পাখির বংশবিস্তার, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। ভালুকার জঙ্গলে জঙ্গলে ও নির্জন স্থানে পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল স্থাপনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এ কৃতিত্ব অবশ্যই ‘অভ্যুদয়’ নামের সংগঠনের তরুণদের প্রাপ্য। তবে তাদের মধ্যে পাখি তথা পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা তৈরির ক্ষেত্রে ভালুকার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামালের অবদান অবশ্যই মূল্যায়নের দাবি রাখে। আমাদের বিশ্বাস, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা দায়বদ্ধ ভূমিকা পালন করলে দেশের চেহারা অনেকাংশে পাল্টে দেওয়া সম্ভব। এ ব্যাপারে ইউএনও ও জেলা প্রশাসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তারা শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে পারেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ অভিযানে। দেশের চেহারা পাল্টে দিতে পারেন বিভিন্ন বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে। এ ক্ষেত্রে সরকারকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও পদায়নে তাদের সুকীর্তিগুলো বিবেচনায় আনা হলে সৃজনশীল কর্মকান্ডে তাদের উৎসাহিত করা হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর