মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাবি ক্যাম্পাসে সহাবস্থান

গড়ে উঠুক সুস্থ পরিবেশ

দীর্ঘদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন মুখর হয়ে উঠেছিল ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সহাবস্থানে। ছাত্রদলের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের সহযোগিতামূলক আচরণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। রবিবার বেলা ১১টার দিকে প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে আসেন নবনির্বাচিত ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাদের আসার আগে থেকেই মধুর ক্যান্টিনে বসে ছিলেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। মধুতে প্রবেশের পর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে শুধু লেখক ভট্টাচার্যই তাদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশের পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অবাঞ্ছিত স্লোগানের মুখে পড়তে হয় ছাত্রদল নেতাদের। এর বিপরীতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাও জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এ পাল্টাপাল্টি স্লোগান চলার পর ছাত্রদল নেতারা মধুর ক্যান্টিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে উপাচার্য কার্যালয়ের দিকে যান। এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। সব পক্ষের পুরোপুরি সহাবস্থান নেই। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন দীর্ঘদিন পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থানে মুখর হয়ে ওঠা নিঃসন্দেহে এক সুখবর। তবে এ সহাবস্থান যাতে স্থায়ী হয় পারস্পরিক সুসম্পর্কের পরিবেশ যাতে গড়ে ওঠে সে ব্যাপারে সব ছাত্র সংগঠনকে যত্নবান হতে হবে। বিশেষ করে সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়িত্বশীল মনোভাব প্রদর্শন করতে হবে। ছাত্রলীগের নিজেদের সুনাম ও শুদ্ধতা নিশ্চিত করতেই প্রতিপক্ষ সংগঠনগুলোর অবাধ কার্যক্রম নিশ্চিত করা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান গড়ে উঠলে ছাত্র রাজনীতির নামে স্বেচ্ছাচারিতা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ইতি ঘটবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠবে সুস্থ পরিবেশ।

সর্বশেষ খবর