মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডলফিনের অভয়াশ্রম

বিপন্ন প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষা করবে

ইরাবতী ও গাঙ্গেয় ডলফিন রক্ষায় বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন সুন্দরবনের নদ-নদীতে আরও ২২ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অভয়াশ্রম গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে। সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে সুন্দরবনের ১০.০৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ডলফিনের তিনটি অভয়াশ্রম রয়েছে। আরও ২২ বর্গকিলোমিটার জুড়ে অভয়াশ্রম করা হলে সুন্দরবন ও আশপাশ এলাকায় সুরক্ষিত অবস্থায় ডলফিন স্বচ্ছন্দে বিচরণ করতে পারবে। সুন্দরবনের নদ-নদীসহ বাংলাদেশে আট প্রজাতির ডলফিনের বিচরণ রয়েছে। গাঙ্গেয় ডলফিন বাংলাদেশের মিঠা পানির নদীর প্রধান ডলফিন। সুন্দরবনের নদ-নদীতে ইরাবতী ও গাঙ্গেয় ডলফিন সহজেই দেখা যায়। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সুন্দরবনে এসে ইরাবতী ও গাঙ্গেয় ডলফিনের ডিগবাজি দেখে মুগ্ধ হন। কিন্তু এই দুই প্রজাতির ডলফিনই বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। বর্তমান সরকার আমলে বাংলাদেশে ডলফিন ও তিমি শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১২ সালের প্রণীত আইন অনুযায়ী ডলফিন অথবা তিমি শিকার করা হলে তিন বছরের কারাদ-, ৩ লাখ টাকা জরিমানাসহ উভয় দ- দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে পাঁচ বছরের কারাদ- অথবা ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ- দেওয়া হচ্ছে। সুন্দরবন-সংশ্লিষ্ট নদ-নদীর আরও ২২ কিলোমিটার এলাকায় ডলফিনের অভয়াশ্রম করা হলে তাতে বিলুপ্তির হাত থেকে জলজ প্রাণী যেমন রক্ষা পাবে তেমন পর্যটকদের কাছে সুন্দরবনের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে। তবে ডলফিনের অভয়াশ্রম করার পরিকল্পনা যাতে যথার্থভাবে বাস্তবায়ন হয়, সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের তীক্ষè নজর রাখা দরকার। ভারত থেকে আসা নদ-নদীর পানির প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় সুন্দরবন এলাকায় লবণাক্ততা বাড়ছে। মিঠা পানির ডলফিনসহ অনেক জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব এমনিতেই বিপন্ন হয়ে উঠেছে। আমরা আশা করব, অভয়াশ্রম ডলফিনসহ বিভিন্ন বিপন্ন প্রাণীর জীবন রক্ষায় অবদান রাখবে। সুন্দরবন হয়ে উঠবে ডলফিনের সবচেয়ে নিরাপদ বিচরণস্থল।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর