শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা সমস্যা

মিয়ানমারের সুবুদ্ধি কাম্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ সাফ বলে দিয়েছেন রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের, সমাধানও আসতে হবে সেখান থেকে। এটিকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেছেন এ সমস্যার মূল মিয়ানমারে গভীরভাবে প্রোথিত। অতএব সংকটের সমাধান মিয়ানমারের ভিতরেই খুঁজে পেতে হবে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ ও ইসলামী সহযোগী সংস্থার যৌথ আয়োজনে ‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস : এ ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। তিনি উল্লেখ করেন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনে চার দফা প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। এর আগে সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনেও তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। তাতে কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলোর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নসহ রাখাইন রাজ্যে একটি বেসামরিক নিরাপদ পর্যবেক্ষণ এলাকা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও ছিল। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান ছাড়াই আমরা আরও একটি বছর পার করে দিয়েছি। মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটাতে ও তাদের দেশে ফেরত না যাওয়া অবধি সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে প্রথম থেকেই প্রতিবেশী মিয়ানমারের শুভবুদ্ধি উদয়ের চেষ্টা করছে। এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ প্রথম থেকেই এমন একটি পথ অনুসন্ধানের ওপর জোর দিচ্ছে যাতে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। পক্ষান্তরে মিয়ানমারের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও সংরক্ষিত থাকবে। বাইরের কোনো উসকানিতে বাংলাদেশ সাড়া দেয়নি, যা সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণেরই পরিচয়। এশিয়ার এই অঞ্চলে জঙ্গিবাদের উত্থান ও বাইরের হস্তক্ষেপ না চাইলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারকে আন্তরিক হতে হবে। এ সমস্যা বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছে। অর্থনীতির জন্য বাড়তি ১০ লাখ লোকের চাপ হুমকি সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার সমাধানে সুপ্রতিবেশীসুলভ দায়িত্বশীলতার যে পরিচয় দিয়েছে তাতে সাড়া দেওয়া মিয়ানমারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর