শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধেয়ে আসছে বিপদ

জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এক হতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তন ইতিমধ্যে মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য সমূহ সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের উপকূলীয় দেশগুলোয় এর অশুভ প্রভাব লাখ লাখ মানুষের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনছে। গত বুধবার জাতিসংঘের পরিবেশসংক্রান্ত প্যানেলের প্রতিবেদনে অশনিসংকেতই তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নিউইয়র্ক থেকে শুরু করে সাংহাইয়ের উপকূলবর্তী শহরগুলো প্রায়ই বন্যার কবলে পড়বে। উত্তর মেরু ও নিকটবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই বরফ গলতে শুরু করেছে। পরে হিমালয় ও দক্ষিণ মেরুতেও হিমবাহ ও বরফের স্তর অত্যন্ত দ্রুতহারে গলতে শুরু করবে। সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মাছের ভান্ডার কমবে দ্রুত হারে, ফলে খাদ্য সংকট অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াবে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনের প্রত্যক্ষ প্রভাব এভাবেই টের পাওয়া যাবে অদূর ভবিষ্যতে। বুধবার পেশ করা জাতিসংঘের পরিবেশসংক্রান্ত প্যানেলের প্রতিবেদনে এ অশনিসংকেতের কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২১০০ সাল নাগাদ সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। মানুষের নানা কর্মকান্ডের পরিণতিতে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন দ্রুত হারে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে ও বরফ গলছে। পরিণতিতে পরিস্থিতি দিন দিন বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে। সাগরপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে এর প্রভাব পড়ছে পুরো বিশ্বের প্রাণিজগতের ওপর। জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম দিকে। ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের উপকূলভাগের কয়েক লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশের নদ-নদীগুলোয় সাগরের লোনা জলের আগ্রাসন বাড়ছে। উপকূলভাগের হাজার হাজার একর জমি লবণাক্ততার শিকার হয়ে উর্বরাশক্তি হারিয়েছে। দুই মেরু ও হিমালয় পবর্তমালার বরফ গলা বৃদ্ধি পেলে ভয়াবহ বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। মানবজাতির অস্তিত্বের স্বার্থেই জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববাসীকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর