শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বন্ডেড ফেব্রিক্স আটক

চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন

রপ্তানির উদ্দেশ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য কালোবাজারে বিক্রির ঘটনা অহরহ ঘটছে। এ অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িতরা এতে লাভবান হলেও সরকার একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ শুল্ক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমন অসম প্রতিযোগিতায় অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে দেশের বস্ত্র, কাগজসহ বিভিন্ন শিল্প। গত বুধবার বন্ডেড চোরাই ফেব্রিক্সের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ইসলামপুর মার্কেটে অভিযান চালিয়ে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ ৩০ ট্রাক বন্ডেড চোরাই ফেব্রিক্স আটক করেছে। রপ্তানির উদ্দেশ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধায় এসব কাপড় চীন থেকে আমদানি করা হয়েছিল। ইসলামপুর মার্কেটের শুভরাজ টাওয়ার ও ইসলাম কমপ্লেক্সের সাতটি গুদামে ৫০ টনের বেশি বন্ড সুবিধায় আনা ফেব্রিক্স পাওয়া যায়। এ সময় কাপড়ের মালিকদের পাওয়া যায়নি। অভিযানের সময় গুদামে কেউ ছিল না। মালিকদের তলব করলেও তারা কেউ আসেনি। সব কটি গুদামের তালা ভাঙতে হয়েছে। অভিযানকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটক কাপড়ের উৎস খোঁজা হচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব কাপড় আমদানি করে ইসলামপুরে বিক্রি করেছে, তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অভিযান চলাকালে স্থানীয় চোরাকারবারি-সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে কাস্টমসের অভিযানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তারা মার্কেটের বাইরের রাস্তা বন্ধ করে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। ইসলামপুর মার্কেট থেকে ৩০ ট্রাক বন্ডেড চোরাই ফেব্রিক্স আটকের ঘটনাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। শুল্ক সুবিধায় আনা পণ্য চোরাই পথে খোলাবাজারে চলে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট পণ্যের দেশীয় উৎপাদকরা অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে। দেশের বিকাশমান বস্ত্র ও কাগজ শিল্পের অস্তিত্ব গভীর সংকটে পড়েছে কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর কারণে। আমরা আশা করব, শুল্ক সুবিধায় আনা পণ্য কালোবাজারে বিক্রি যাতে পুরোপুরি বন্ধ হয় তা নিশ্চিত করতে কাস্টমসের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। এ অপকর্মে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে- আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর