মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান

সরকারকে অটল থাকতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে প্রবাসীদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় বলেছেন, দুর্নীতিবাজ ও অসৎ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি-অনিয়ম-উচ্ছৃঙ্খলতায় জড়িত থাকলে দলের লোকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত। সরকার যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তার প্রতিটি টাকা যদি সঠিকভাবে ব্যয় হতো, আজকে বাংলাদেশ আরও অনেক বেশি উন্নত হতো পারত। এখন খুঁজে বের করতে হবে এখানে কোথায় লুপহোল, কোথায় ঘাটতিটা, কারা কোথায় কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, অসৎ পথ ধরে কেউ উপার্জন করলে, অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ কাজে ধরা পড়লে সে যেই হোক, সরকারি দলের হলেও ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্ম্যে যারা সৎভাবে জীবনযাপন করতে চায় তাদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ তাদের ছেলেমেয়েরা যারা শিশু, তারা তো আর এতটা বোঝে না। ভাবে, ওরা এভাবে পারে তো আমাদের নেই কেন। সমাজের এ বৈষম্য দূর করার জন্য সরকার ইতিমধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুর্নীতির পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গত এক দশকে বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে চমক লাগানো সাফল্য দেখিয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার অভাবে এর পরিপূর্ণ সুফল জাতি ভোগ করতে পারছে না। কিছু লোকের লাগামহীন দুর্নীতি সরকারের সাফল্য গিলে খাচ্ছে। এ অবস্থার অবসানে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই জনমনে আশার আলো জাগিয়েছে। দুর্নীতিবাজ যেই হোক, তার ওপর আঘাত হানার নীতি সরকারের সদিচ্ছা সম্পর্কে জনমনে বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি করেছে। যে কোনো মূল্যে এ বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে যে পুকুরচুরির দুর্নীতি হয় তা রোধ করা গেলে দেশের উন্নতি দ্রুত লয়ে এগিয়ে যাবে। আমলা ও রাজনৈতিক টাউটদের সামাল দেওয়া গেলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। জনগণের হৃদয়ে ঠাঁই পেতে হলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান এগিয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যেখানে দুর্নীতি সেখানে আঘাত হানার নীতি-কৌশলে সরকারকে অটল থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর