শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ

বিনিয়োগের আহ্বান সময়োপযোগী

বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের পূর্বাভাস হলো- ‘এটি দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে’। বাংলাদেশ সময়ের বিবর্তনে যে কাক্সিক্ষত পথ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে সে সম্পর্কে এখন সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এখন সবার ওপরে। চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো অর্থনৈতিক পরাশক্তিকেও বাংলাদেশ এদিক থেকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। ভারত সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে সংগতভাবেই বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির কেন্দ্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। ৪০টি দেশের ৮০০ প্রতিনিধির দুই দিনের ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পূর্ব এশিয়া, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমে চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যবর্তী হওয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এবং ভারতের ব্যবসার অন্যতম ক্ষেত্র হতে পারে। নিজস্ব ১৬ কোটি মানুষ ছাড়াও প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের একটি বিশাল বাজারের যোগাযোগের পথ হতে পারে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে শিক্ষা, হালকা প্রকৌশল শিল্প, ইলেকট্রনিক্স শিল্প, অটোমোটিভ শিল্প, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলোয় বিনিয়োগ করার এখনই সময়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি স্বাধীন ও উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত করার অভিলাষ নিয়েই সরকার যে এগিয়ে যাচ্ছে, তা যে কেউ স্বীকার করতে বাধ্য। এ লক্ষ্য পূরণে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের দেশ। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার বেশ বড়। বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে শ্রমের দাম কম। বিনিয়োগবান্ধব নীতি অনুসরণ করায় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে সহজেই লাভবান হতে পারেন। রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ ভারতের শিল্পোদ্যোক্তারা এ সুযোগ গ্রহণ করলে তারা যেমন লাভবান হবেন তেমন দুই দেশের মৈত্রীবন্ধনও জোরদার হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর