রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রপ্তানি সাফল্য

আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগলে চলবে না

বাংলাদেশের রপ্তানি খাত প্রতি বছরই সমৃদ্ধ হচ্ছে। বিশ্বের যেসব দেশের রপ্তানি আয় দ্রুত বাড়ছে তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ পর্যায়ে। রপ্তানি আয় বাড়াতে চলছে নানামুখী উদ্যোগ। নতুন বাজার অন্বেষণেও জোর দেওয়া হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে এখন সরকারের টার্গেট লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করা। এই দেশগুলোয় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি জোরেশোরে শুরুর চেষ্টা চলছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে। গত আগস্টে প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন ৪২তম বড় রপ্তানিকারক দেশ। বিশ্বে যে কটি দেশের রপ্তানি আয় খুব দ্রুত বাড়ছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। রপ্তানি আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনাম। এর পরই বাংলাদেশের অবস্থান। গড় হিসাবে এক দশক ধরে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ২ অঙ্কের কাছাকাছি। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অগ্রযাত্রায় প্রধান ভূমিকা রেখেছে পোশাক খাত। পোশাক রপ্তানিতে একক দেশ হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। শীর্ষে রয়েছে চীন। তবে অল্প অল্প করে অন্যান্য অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানিতেও সফল হচ্ছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ইউরোপ, আমেরিকার বড় বড় বাজারের পাশাপাশি এখন নতুন নতুন অনেক বাজার তৈরি হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বাড়ছে আশানুরূপ হারে। বাংলাদেশকে শুল্ক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এর ফলে তৈরি পোশাক খাতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব হ্রাস পাবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে যখন মন্দা চলছে তখন বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি আশাজাগানিয়া ঘটনা।

তবে এতে আত্মসন্তুষ্টি কিংবা আত্মপ্রসাদের কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়। কারণ বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনা রয়েছে তার এক ক্ষুদ্র অংশকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে। এখানে প্রত্যাশিত সাফল্য  অর্জন করতে হলে নিরলসভাবে প্রয়াস চালাতে হবে। লক্ষ্যপূরণে

অটল মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর