বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সাইবার ক্রাইম

অপরাধীদের মনে ভয় ঢোকাতে হবে

দেশের সাইবারজগৎ শুরু থেকেই অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর উপক্রম। সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চলেছে একাধিকবার। ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে অপপ্রচার চালানো, ছবি বিকৃতি ও কুৎসা রটানোর মাধ্যমে অন্যের সম্মানহানি ঘটানো যেন অতিসাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোটখাটো বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারের পাশাপাশি চলছে জঙ্গিবাদের উসকানিও। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সম্মানহানির জন্য অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। তাদের অপকর্মে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। সংঘবদ্ধ একটি চক্র রাষ্ট্র ও সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিদের হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে অনবরত। কারও নামে সংঘবদ্ধভাবে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইনের চোখে অপরাধী বানানোরও চেষ্টা করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এসব অপরাধ এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সরকারের শক্ত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে সাইবার অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ঘটনাগুলো এখন শুধু ভার্চুয়াল জগতেই নেই, জাতীয় নিরাপত্তায়ও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাইট ও অ্যাপসগুলোর মধ্যে ফেসবুকেই সাইবার অপরাধ বেশি ঘটছে। সাইবার অপরাধের কারণে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়তই। প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জেও সক্রিয় সাইবার অপরাধীরা। জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও এরা অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিয়েছে। সাইবার অপরাধ দমনে দেশে যেসব আইন রয়েছে তা অপরাধীদের সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। সে আইনের প্রয়োগও সীমিত। পরিণতিতে নানা ধরনের গুজব-অপপ্রচার ছড়িয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে নানা ধরনের দুর্ঘটনা, সংঘাত এমনকি হত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দুর্বৃত্তরা এটিকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণেও তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে অপরাধীদের মনে ভয় ঢোকানো জরুরি হয়ে উঠেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর