রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ

সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতিসহ সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িত এজাহারভুক্ত ১৯ ছাত্রকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বৈঠকে র‌্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে দ্রুততম সময়ে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন উপাচার্য। প্রায় ৩ হাজার ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে একে একে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘খুনিদের শাস্তির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন- তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি কোর্টের মাধ্যমে আসবে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বুয়েটের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। মামলায় এজাহারভুক্ত ১৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জড়িতদের আজীবন বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ মামলার সব খরচ ও আবরার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একমত। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পরিচালনার ব্যাপারে সম্পূর্ণ একমত বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। চার্জশিটের প্রক্রিয়া চলছে। চার্জশিটের কপি পেলে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। র‌্যাগিংয়ের নামে আবাসিক হলগুলোয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধে ছাত্র পরিচালক ব্যবস্থা নেবেন। বুয়েটে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতিসহ সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি ইতিবাচক ঘটনা। শুধু বুয়েট নয়, দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা যেতে পারে। অন্যান্য শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতির সুযোগ অব্যাহত রাখা যেতে পারে, তবে দলীয় রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের গাঁটছাড়া সম্পর্কের অবসানও কাম্য। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিতে হবে। ছাত্র সংসদের সরাসরি নির্বাচন অথবা সবচেয়ে মেধাবীদের পদায়নের বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। শিক্ষাঙ্গন থেকে সন্ত্রাসের ইতি ঘটাতে যা যা দরকার সবকিছু করা হবেÑ এমনটি প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর