মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি

আরও অনেক পথ এগোতে হবে

‘বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে একটি মডেল দেশ।’ রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপরোক্ত বক্তব্যটি খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের অবস্থান এমন এক এলাকায় যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সাংবাৎসরিক ঘটনা। গত অর্ধশতাব্দীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কয়েক লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এ দেশে। ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস কেড়ে নিয়েছিল কয়েক লাখ মানুষের প্রাণ। স্বাধীনতার পর শত সীমাবদ্ধতার পরও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাকে আশু করণীয় কর্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। বর্তমান সরকারের আমলে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতি যাতে হ্রাস পায় সেজন্য দৃষ্টিকাড়া নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার; যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং এখন অনেক দেশই মনে করে এ বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে শেখার রয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর জুলাইয়ে ঢাকায় গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের সভা হয়। সেখানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন দুর্যোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বিশ্ব অভিযোজন কেন্দ্র-ঢাকা অফিস’ স্থাপনের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের উল্লেখ করে যে কোনো ধরনের দুর্যোগের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে কোনো মনুষ্যসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগই আসুক না কেন সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত থাকবে সেটাই আমরা চাই। স্বেচ্ছাসেবকরা এ বিষয়ে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করবে এমন আশা তিনি ব্যক্ত করেছেন দৃঢ়ভাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষত বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ও সেরা প্রযুক্তির দেশের চেয়েও এগিয়ে। অগ্নিকান্ডের মতো দুর্যোগ মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসায়ও তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তবে এতে আত্মপ্রসাদ লাভের কোনো অবকাশ নেই। দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশকে সক্ষম করে তুলতে আরও অনেক পথ এগোতে হবে। বিশেষ করে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া দরকার।

 

সর্বশেষ খবর