শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বন্ধ রেলপথ চালুর সিদ্ধান্ত

যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সহজতর হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে বন্ধ থাকা সব রেল রুট এবং ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া রেল রুটগুলো পুনরায় চালুর আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, এগুলো চালু হলে দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়ে লাভবান হবে। বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা-কুড়িগ্রাম-ঢাকা রুটে প্রথম আন্তনগর ট্রেন চালু এবং রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমণি এক্সপ্রেস প্রতিস্থাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য তাৎপর্যের দাবিদার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে অনেক রেল ও রেললাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আওয়ামী লীগ সরকার তা পুনরায় চালুর ব্যবস্থা নিয়েছে। যেসব এলাকায় রেল যোগাযোগ ছিল না, সেসব জায়গায়ও রেল যোগাযোগ চালু করা হচ্ছে। দক্ষিণ বঙ্গসহ সারা দেশই রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসা হবে। দীর্ঘদিন ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর ২০০৮ সালে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও ২০১৭ সালে খুলনা-কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস চলা শুরু হয়। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়াতে হলদিবাড়ী-চিলাহাটি, আখাউড়া-আগরতলাসহ কয়েকটি রুট পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। সারা দুনিয়ায় রেল সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। স্বাধীনতার আগে রেলপথ ছিল আন্তজেলা যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় দুই দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বাধীনতার পর বাস মালিকদের চক্রান্তের শিকার হয় দেশের রেলপথ। তাদের চাপ ও উৎকোচের বদৌলতে বন্ধ হয়ে যায় রেলের বিভিন্ন রুট। দেশের হাইওয়েগুলোর বিরক্তিকর যানজট কমাতে রেলপথের উন্নয়নে বাড়তি নজর দেওয়া দরকার। বিশেষত পণ্য পরিবহনে রেলপথকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর ফলে পণ্য পরিবহন সহজতর হবে। রাস্তার যেখানে সেখানে চাঁদা দেওয়ার অভিশাপ বন্ধ হবে। ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে রেল যোগাযোগ শুরু হলে পণ্য আনা-নেওয়ার খরচ অনেক কমে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

 

সর্বশেষ খবর