শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নামাজ পড়তে হবে জামাতের সঙ্গে

মুফতি হেলাল উদ্দিন হাবিবী

নামাজ পড়তে হবে জামাতের সঙ্গে

ইমানের পর সর্বপ্রথম ও সর্বোত্তম ইবাদত হলো নামাজ। মুয়াজ্জিনের সুমধুর আজানের ধ্বনি শোনা মাত্রই সব কাজ স্থগিত রেখে মুমিনরা ছুটে চলে মসজিদপানে। মহান স্রষ্টার কুদরতি কদমে ললাট রেখে তৃপ্ত করে স্বীয় মালিকের প্রেম-বিরহে তৃষ্ণার্ত আত্মাকে। ইসলামে জামাতে নামাজ পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। দৈনিক পাঁচবার মসজিদে সমবেত হয়ে ধনী-গরিবনির্বিশেষে জামাতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মুসলমানের মাঝে ঐক্য, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও আনুগত্যের অপূর্ব মেলাবন্ধন তৈরি হয়। মুমিনরা যখন সারিবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করে তখন আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে তাঁর নামাজি বান্দাদের নিয়ে গর্ব করেন। আল্লাহ জামাতে নামাজ আদায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আল কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ পড় নামাজিদের সঙ্গে।’ সূরা বাকারা, আয়াত ৪৩। অর্থাৎ জামাতের সঙ্গে।

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরে বায়জাবিতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা মুসল্লিদের সঙ্গে জামাতে নামাজ পড়।’

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘জামাতে নামাজ আদায় করা একা আদায় করার চেয়ে ২৭ গুণ উত্তম।’ বুখারি। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ৪০ দিন প্রথম তাকবিরের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাকে দুটি পুরস্কার দান করবেন- ১. জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান ২. মুনাফিকি থেকে পরিত্রাণ।’ বুখারি, মুসলিম।

লেখক : খতিব, মাসজিদুল কোরআন জামে মসজিদ, কাজলা (ভাঙা প্রেস), যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।

 

সর্বশেষ খবর