সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মহাসড়কে যানজট

মেরামত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করুন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট যেন নিয়তির লিখনে পরিণত হয়েছে। একেক সময় একেক অজুহাতে যানজটের দৈত্য থাবা বিস্তার করছে। কয়েক দিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোলপ্লাজা ব্রিজের পূর্ব পাড় থেকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজের পূর্ব পাড়ের রাস্তায় মেরামত কাজ চলার কারণে অনিবার্য হয়ে উঠছে যানজট। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষসহ যানবাহনে যাতায়াতকারীরা। মেঘনা সেতুর পূর্ব পাড় থেকে রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। এই সেতুর তিনটি লেন দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়। কিন্তু রাস্তা মেরামতের কারণে এখন সেতুর পূর্ব দিক থেকে মাত্র একটি লেন দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই মহাসড়কজুড়ে ভয়াবহ যানজট থাবা বিস্তার করছে। শনিবার সন্ধ্যায় সেতুর পূর্ব পাড় থেকে যানজট সোনারগাঁয়ের জামালদি ও ভবেরচর হয়ে তা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ভয়াবহভাবে বিস্তৃত হয়। এতে ঢাকাগামী বা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মেঘনা সেতুর পূর্ব পাড়ের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বাংলাদেশে জনসংখ্যা ও আয়তনের তুলনায় সড়কের সংখ্যা কম। ফলে রাজধানীসহ মহানগরগুলোতে যানজট নিত্যকার ঘটনা। মহাসড়কগুলোও এ আপদ থেকে মুক্ত নয়। দেশের প্রধান মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে চার লাইন করার পরও ভোগান্তির অবসান ঘটেনি। আগের তুলনায় এ সড়কে যাতায়াত সহজতর হলেও রাস্তা মেরামতসহ নানা কারণে যানজট অনিবার্য হয়ে ওঠে। ঈদের সময় অথবা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যানজট থাবা বিস্তার করে। সেতু কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, সড়ক মেরামতের কাজ শেষ করতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। যানজটে আটকেপড়া নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের এ সময়ে গরমে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকায় রোগীরা ভোগ করছেন সীমাহীন দুর্ভোগ। এ ছাড়া বাস, ট্রাক চালকরা কার আগে কে যাবেন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ায় যানজট আরও তীব্রতর হচ্ছে।  আমরা আশা করব জনভোগান্তি কমাতে সড়ক মেরামতের  কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর