শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভোলার ঘটনা অতীতের ষড়যন্ত্রেরই পুনরাবৃত্তি

এ কে এম শহীদুল হক

ভোলার ঘটনা অতীতের ষড়যন্ত্রেরই পুনরাবৃত্তি

ফেসবুক পোস্ট। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। বিক্ষোভ, মিছিল, প্রতিবাদ, অরাজকতা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আক্রমণ। সংঘর্ষ, অ্যাকশন, গোলাগুলি। নিহত-আহত। বাংলাদেশে যারা ইসলামের আত্মস্বীকৃত হেফাজতকারী তারা মাঝেমধ্যে এসব ঘটনায় জ্বালানি ঢেলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির সুযোগ গ্রহণ করে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। গত ২০ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ফেসবুক পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে বিক্ষোভ, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ কর্তৃক আত্মরক্ষার্থে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনা অতীতের ধারাবাহিক ঘটনারই নিদর্শন।

বিপ্লবচন্দ্র শুভ নামে জনৈক ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ধর্মীয় অবমাননার স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এদিকে বিপ্লব আগেই থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান, তার ফেসবুক হ্যাক করা হয়েছে এবং হ্যাকাররা তার কাছে চাঁদা দাবি করছে। এই মর্মে তিনি থানায় জিডি এন্ট্রি করেন। কিন্তু পুলিশ বিপ্লবকে ছাড়েনি। পুলিশ বিপ্লবকে গ্রেফতার করে এবং আরও দুজনকে হ্যাকার সন্দেহে গ্রেফতার করে। তার পরও ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া প্রতিবাদ সভা করা হয়। পুলিশ সভা পন্ড করেনি। শুধু সভা দীর্ঘায়িত না করার অনুরোধ করেছিল। সভার শেষ দিকে বিনা উসকানিতে সভা থেকে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ সভাস্থল-সংলগ্ন মসজিদের দোতলায় একটি কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেয়। উচ্ছৃঙ্খল জনতা মসজিদের দোতলায় উঠে পুলিশকে কক্ষ থেকে বের করে আক্রমণের চেষ্টা চালায়। তারা কক্ষের দরজা শাবল ও অন্যান্য বস্তু দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে। উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা অত্যন্ত বেপরোয়া ও মারমুখী ছিল। তাদের আক্রমণে কয়েকজন পুলিশ আহত হন। একজন বুলেটবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকা সিএমএইচে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। গুলি হয়। ওই ঘটনায় চারজন প্রাণ হারায়। পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।

এ ঘটনা কেন ঘটল? যার ফেসবুকে ইসলামের অবমাননামূলক স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছিল সে তো গ্রেফতার হয়েছিল। থানায় ছিল। তার পরও কেন এত অরাজকতা সৃষ্টি করা হলো? বিপ্লব ফেসবুকে নিজে লিখেছেন, না অন্য কেউ হ্যাক করে লিখেছে তা তদন্তের জন্য তো তাকে থানা থেকে ছাড়া হয়নি। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। মামলা রুজু হচ্ছিল। তার পরও ইসলামের আত্মস্বীকৃতি হেফাজতকারীরা আর কী চেয়েছিল? তাকে কি মেরে ফেলতে চেয়েছিল? বিচার না করে সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি দিতে চেয়েছিল? ইসলাম কি তা বলে? কেউ খুন করে পুলিশের কাছে এসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে অর্থাৎ সে খুন করেছে এ কথা স্বীকার করলেই তো তদন্ত ও বিচার ছাড়া তাকে তৎক্ষণাৎ ফাঁসি বা সাজা দেওয়া যায় না। আইনেও সেই বিধান নেই, ধর্মেও নেই। মামলা করতে হয়। তদন্ত করতে হয়। সাক্ষ্য -প্রমাণ সংগ্রহ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়। আদালত বিচারকার্য শেষ করে অভিযোগের পক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেলে তাকে সাজা দেয়। হেফাজতিরা কি এটা বোঝেন না। নিশ্চয়ই বোঝেন। তারা বুঝেশুনে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা ঘটায় কেবল হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য।

আমি একজন মাওলানা সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম। তিনি আল কোরআনের সূত্র উল্লেখ করে বললেন, ‘ইসলাম ও কোরআনের হেফাজত আল্লাহ নিজেই করবেন। সূরা হিজরতের ৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, “অবশ্যই আমি উপদেশ (কোরআন) নাজিল করেছি এবং এর সংরক্ষণকারী আমি নিজেই।” সূরা সফের ৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, “এই লোকেরা আল্লাহর নূর (ইসলাম)-কে নিভিয়ে দিতে চায়। অথচ আল্লাহ ইসলামকে পরিপূর্ণ করতে চান।” অর্থাৎ ইসলামকে আল্লাহই টিকিয়ে রাখবেন।’ আলেম মহোদয়ই এভাবে বললেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম বিশৃঙ্খলা, ফ্যাসাদ ও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার শিক্ষা দেয় যাতে পৃথিবীতে মনুষ্য সমাজে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় থাকে। অথচ একশ্রেণির আলেম সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করেন। এতে তারা ইসলামের হেফাজতের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করেন। মহান আল্লাহ, আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ও ইসলামের অবমাননা করে কেউ কিছু বললে বা লিখলে তা কোনোক্রমেই আমরা বরদাশত করব না। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করব। দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে সাজা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেব। কিন্তু অরাজকতা নয়। ঘটনার সত্যতাও প্রমাণ করতে হবে। সমাজে দুষ্ট লোকের তো অভাব নেই।

অতীতেও একই কায়দায়, একই অভিযোগে ওই বিশেষ মহল এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছিল। ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে, ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এবং ২০১৭ সালে রংপুরে একই কায়দায়, একই অভিযোগে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে আক্রমণ করে ক্ষতিসাধন ও ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। রামুতে ১২টি বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৫০টির অধিক বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে। নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৯টি মন্দির ও ৩ শতাধিক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। রংপুরেও একই কায়দায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও বসতবাড়িতে হামলা ও আগুন দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালানো হয়। রামুর ঘটনায় অভিযোগ ছিলÑ এক বৌদ্ধ যুবক তার ফেসবুকে কোরআন শরিফ পায়ের নিচে রেখে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি পোস্ট করে ধর্মীয় অবমাননা করেছেন। তদন্তে দেখা যায় ওই ফেসবুক ভুয়া (ঋধশব) ছিল। ওটা ওই যুবকের ফেসবুক নয়। কোনো ষড়যন্ত্রকারী ওই যুবকের নামে ঋধপবনড়ড়শ খুলে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে তুলেছিল। বান্দরবানের উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক শিবির নেতা তোফায়েল ওই ঘটনার নেপথ্যে সক্রিয় ছিলেন। নাসিরনগরেও এক জেলে যিনি লেখাপড়া জানেন না তার নামে ঋধপবনড়ড়শ খুলে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দিয়ে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর আক্রমণ করা হয়। রংপুরে যে টিটু রায়ের নামে ঋধশব ঋধপবনড়ড়শ খুলে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দিয়ে ধর্মপ্রাণ লোকদের উত্তেজিত করে লঙ্কাকা- ঘটায় তদন্তে জানা যায় ওই টিটু এ-সংক্রান্তে কিছুই জানে। সে একজন খেটে খাওয়া গোবেচারা টাইপের সাধারণ লোক। দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জে থাকে। এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এ ঘটনায়ও ষড়যন্ত্র ছিল না।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ হলে চাঁদে তার ছবি দেখা গেছেÑ ফেসবুকে এ ধরনের একটি পোস্ট দিয়ে সারা দেশে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালানো হয়েছিল। বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। যানবাহন ভাঙচুরসহ ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালিয়ে বগুড়া, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, ও অন্যান্য এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। এ ঘটনায়ও জামায়াত-শিবির মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীতে যে তান্ডব চালিয়েছিল তা মনে হলে এখনো গা শিউরে ওঠে। তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ করে অনেককে আহত করেছে। একজন এসআইকে হত্যা করেছে। শান্তিনগরে ট্রাফিক অফিসে আগুন দিয়ে পুলিশকে পুড়িয়ে মারার প্রচেষ্টা চালায়। একজন পুলিশ সদস্য আগুনে পুড়ে মৃতপ্রায় ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করায় আল্লাহর রহমতে তিনি কোনোরকমভাবে বেঁচে আছেন। সংঘর্ষে আরও কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তি নিহত হয়। অসংখ্য যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দোকানপাট ধ্বংস করা হয়। আইল্যান্ডের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। অনেক কোরআন শরিফ পুড়িয়ে ফেলা হয়। আওয়ামী লীগ অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পুলিশের বাধা পেয়ে ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরদিন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় দীর্ঘ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দিতে প্রকাশ পায় বিএনপি-জামায়াতপন্থি মাওলানারা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক তান্ডব চালিয়েছিল। তাদের কথায়ই শাপলা চত্বরে অবস্থান অব্যাহত রেখেছিল। পরদিন বিএনপি-জামায়াত তাদের সঙ্গে এক হয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিল। ঢাকার তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা আন্দোলনকারীদের খাবার সরবরাহ করেছিলেন এবং পরদিনের খাবার ও সব ধরনের সহায়তা প্রদান করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। বাবুনগরী স্বীকার করেছিলেন, ওই আন্দোলন বিএনপি-জামায়াতপন্থি আলেমদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাদের কথায় তিনি নিজেও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন। বাবুনগরীর জবানবন্দিতে এসব তথ্য ছিল। রাতে অবস্থানকারীদের শাপলা চত্বর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযানে একটি লোকেরও প্রাণহানি হয়নি। অথচ মিথ্যাচার করা হয়েছিল যে শত শত লোক মারা গেছে। আমি সংবাদ সম্মেলন করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলাম এই বলে যে, অবস্থানকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার সময় একটি লোকও মারা যায়নি। পুলিশ কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। সাউন্ড গান ব্যবহার করে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই দিন হেফাজত পুলিশের সঙ্গে ওয়াদা ভঙ্গ করে শাপলা চত্বরে তাদের অবস্থান অব্যাহত রেখেছিল।

২০১২ সালে রামুতে, ’১৬ সালে নাসিরনগরে, ’১৭ সালে রংপুরে ও ২০১৩ সালে দেশব্যাপী যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল তা ছিল জামায়াত-শিবির ও বিএনপির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। ভালোমন্দ না বুঝে হুজুগে রামু ও নাসিরনগর ঘটনায় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীও জড়িত ছিলেন। এ দেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্য নিয়েই এ ষড়যন্ত্র ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি সর্বদা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তথা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের জন্য এই ন্যক্কারজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করেছিল। পুলিশি তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে। তার পরও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ জামায়াত-শিবির ও বিএনপির একশ্রেণির জামায়াতপন্থি নেতা ও কর্মীর ষড়যন্ত্রে বার বার বিভ্রান্ত হয়ে নাশকতামূলক কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিটি ঘটনায় পুলিশ একাধিক মামলা করেছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কোনো মামলারই বিচারকার্য সম্পন্ন হয়নি। বিচারের মাধ্যমে দোষীদের সাজা দেওয়া সম্ভব হলে হয়তো এ ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

সাধারণ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের উচিত এ ধরনের ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ত না হওয়া। গুজবে কান না দিয়ে ঠান্ডা মাথায় সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে দেশের প্রচলিত আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। গুজবে কান দেওয়া যাবে না। ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।

 

সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজড করেছে দেশ ও জনগণের কল্যাণে। তথ্যপ্রযুক্তির সুফল জনগণ পাচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন ও কোনো ভালো কাজই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মহলের চোখে দৃশ্যমান হয় না। অথচ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যা প্রচারণা ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। মনুষ্যত্ব ও বিবেকসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি এহেন জঘন্য কাজ করতে পারে না। যারা করে তাদের হৃদয়ে বিবেক, মনুষ্যত্ব ও নৈতিকতার দ্বার রুদ্ধ হয়ে গেছে। তারা দেশ ও জনগণের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। কাজেই সাধারণ মানুষকে তাদের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

লেখক : সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ।

সর্বশেষ খবর