শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যবসায় আট ধাপ অগ্রগতি

আরও অনেক পথ এগোতে হবে

ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে সৌভাগ্য অর্জিত হয় এমন প্রবাদ দেশে দেশে প্রচলিত। ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্যকে সমধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) নিজেও ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেছেন। অনুসারীদের উৎসাহ দিয়েছেন এ পেশায় জড়িত হওয়ার জন্য। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। এটি তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি প্রবাদ; যাতে ধারণা দেওয়া হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে সমৃদ্ধি নিশ্চিত হতে পারে। বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে উন্নয়নের কাক্সিক্ষত স্তরে পা রাখতে চায়। এজন্য দরকার দেশে ব্যাপক হারে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। এ বিষয়ে সুযোগ ও সামর্থ্য বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান আদৌ সন্তোষজনক নয়। তবে চলতি বছর মন্দের ভালো হিসেবে বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা সহজ করার সূচকে আট ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের ‘ইজি অব ডোয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছর ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৭৬তম স্থান থেকে এবার লাল-সবুজের দেশ ১৬৮তম স্থানে উঠে এসেছে। এর আগে গত মাসে ব্যবসা সহজ করার সূচকে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করা ২০টি দেশের নাম প্রকাশ করেছিল ওয়াশিংটনভিত্তিক দাতা সংস্থাটি। সেখানেও জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর এবার ৪৫, যা গত বছর ছিল ৪১ দশমিক ৯৭। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। বিদ্যুৎ-সংযোগ ও ঋণপ্রাপ্তির দিক থেকেও বাধা কমেছে। দেশে নতুন কোম্পানি নিবন্ধনে খরচ কমেছে। ডিজিটাল সনদ পেতে কোনো ফি দিতে হচ্ছে না। শেয়ার ক্যাপিটালের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন ফিও কমানো হয়েছে। এক বছরে ব্যবসার সূচকে আট ধাপ এগোনো দুনিয়ার যে কোনো দেশের জন্য বড় অগ্রগতি। তবে এতে আত্মপ্রসাদে ভোগার অবকাশ নেই। কারণ, বিশ্বপরিসরে ১৯০টি দেশের মধ্যে এখনো আমাদের অবস্থান ১৬৮তম। দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র আফগানিস্তান বাদে অন্যরা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। ফলে এ ক্ষেত্রে বিশ্বমান দূরের কথা, দক্ষিণ এশীয় মান অর্জন করতে হলেও আরও এগোতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর