বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মশা নিয়ে দুর্ভাবনা

কর্তৃপক্ষীয় তৎপরতা বাড়াতে হবে

মশা নিয়ে দুর্ভাবনা কিছুতেই কাটছে না। সরকার ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এ নিয়ে ভুগছে উৎকণ্ঠায়। মশাবাহিত রোগে দুনিয়াজুড়েই প্রতি বছর মারা যায় বিপুলসংখ্যক মানুষ। বাংলাদেশেও ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগে প্রাণহানির সংখ্যা কম নয়। বিশেষ করে দেশের পার্বত্য এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ এখনো আশঙ্কাজনক। ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার বিস্তার ঘটে মশার মাধ্যমে। সারা দেশেই রয়েছে মশার অবাধ রাজত্ব। বিশেষত মশার আগ্রাসন রাজধানীর পৌনে ২ কোটি মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। মশা নিধন কার্যক্রমে ফাঁকফোকর থাকায় এ ক্ষুদ্র কীটের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। রাজধানীর বিশেষত শহরতলির ডোবা-নালাগুলো মশা উৎপাদনের উর্বর ক্ষেত্র। এগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কোনো উদ্যোগ না থাকায় মশার উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের চমক লাগানো জয়ের পেছনে মশা সমস্যা সমাধানে পূর্ববর্তী মনোনীত মেয়রের ব্যর্থতা অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করেছে। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মশার উৎপাত থেকে রাজধানীবাসীকে রেহাই দিতে নানামুখী উদ্যোগ নেন। আন্তরিকতা সত্ত্বেও মশার উৎপাত রোধে তিনি যে শতভাগ সফল হননি তা অকপটে স্বীকারও করেছেন। নগরবাসীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীকে দুই সিটি করপোরেশনে বিভক্ত করার পরও মশার উৎপাত বন্ধে দুই তরফের সাফল্যই প্রশ্নবিদ্ধ। মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশন তাদের বাজেট বাড়ালেও ফল হতাশাজনক। অভিযোগ রয়েছে, মশা নিধনের বরাদ্দকৃত অর্থের এক বড় অংশই চলে যায় লুটেরাদের পকেটে। মশা নিধনে যে ‘ওষুধ’ ছিটানো হয় তার মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। ফলে প্রতি বছর মশা নিধনের বাজেট বাড়লেও নগরবাসীর স্বস্তিদানে তা দৃষ্টিগ্রাহ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। মশা নিধনে নীতিনির্ধারকদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও প্রশ্ন রয়েছে বাস্তবায়ন পর্যায়ে। নগরবাসীর স্বস্তিদানে কাক্সিক্ষত ফল পেতে হলে মশা নিধন কার্যক্রমের সর্বস্তরে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর