রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কাকের ময়ূরপুচ্ছ ধারণ

আওয়ামী লীগের সর্বনাশ ঘটাচ্ছে বর্ণচোরারা

ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না। আওয়ামী লীগ নেতারা দল ভারি করার জন্য ভাত ছিটানোর ব্যবস্থা না করলেও কাকেরা নিজেদের গরজেই ঠাঁই নিয়েছে আওয়ামী লীগ চত্বরে। দলের কিছু অসৎ নেতাকে ম্যানেজ করে আবর্জনা খাওয়া কাকেরা ময়ূরপুচ্ছ ধারণ করে চেহারা পাল্টিয়েছে। দেশে ক্ষমতাসীন দলের নামে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও টেন্ডারবাজির যে মচ্ছব চলছে তাতে রয়েছে এই নব্য আওয়ামী লীগারদের ভূমিকা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল জয়ের পর থেকেই দলের বিভিন্ন স্তরে শুরু হয় ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল ভারি করার প্রবণতা। কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী-এমপিরা নিজ বলয় ভারি করতে ‘ফুলের তোড়ায়’ বরণ করে নেন বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাদের; যার অনেকের বিরুদ্ধে ছিল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী হত্যাসহ নাশকতা ও অবৈধ অস্ত্রের একাধিক মামলা। দল বদল করে আওয়ামী লীগে এসে রাতারাতি পুনর্বাসিত হয়েছেন তারা। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরা এখন জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের চালকের আসনেও বসেছেন। ‘অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে নয়’ দলের হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনা থাকলেও মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা তোয়াক্কা করেননি। গত পৌনে ১১ বছরে অর্ধলক্ষাধিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে আওয়ামী লীগে; যার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দলের নেতা-কর্মী শুধু নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল ফ্রীডম পার্টির নেতা-কর্মীরাও রয়েছেন। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, দলের অঙ্গসংগঠনগুলোতেও অনুপ্রবেশ করেছে বিভিন্ন দল থেকে আসা বিতর্কিতরা। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী দল। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো বিশাল মাপের নেতারা এ দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশকে উন্নয়নের সোপানে নেওয়ার পথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। গত এক দশকে দেশ ও জাতির আকাশছোঁয়া অর্জন সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ বিতর্কিত হয়ে পড়ছে কিছু বিতর্কিত লোকের জন্য। বিভিন্ন দল থেকে আশ্রয় নেওয়া মতলববাজরা ভিতর থেকে আওয়ামী লীগের সর্বনাশ সাধনে লিপ্ত; যা থেকে দলের নেতা-কর্মীরা সাবধান হবেন- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর