রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ

ডাবল লাইন ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে অচিরেই। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের লাকসাম-আখাউড়া অংশের ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ-ডাবল লাইনের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প কাজ আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের রেল সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন হবে। ঢাকা থেকে বন্দরনগর চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে সোয়া ৩ ঘণ্টায়। স্মর্তব্য, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৩২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ডুয়েলগেজ ছিল ১১৮ কিলোমিটার। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পুরো রেলপথকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়; যার কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতবেগে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন রেল চালু হলে রাজধানীর সঙ্গে দেশের প্রধান বন্দরনগর চট্টগ্রামের যোগাযোগ সহজতর হবে। যাতায়াতের সময় হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি এই রুটে একাধিক আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাবে। এ রুটে উচ্চতর এই এক্সেল লোকোমোটিভ দিয়ে ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে। লাইন ক্যাপাসিটি ২৩ জোড়া থেকে বেড়ে ৭২ জোড়ায় উন্নীত করা সম্ভব হবে। সাধারণ পণ্যের পাশাপাশি কনটেইনার পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। ট্রেন লাইনচ্যুতির কারণে একটি লাইন বন্ধ থাকলেও অন্যটি চালু থাকবে এবং ট্রেন দুর্ঘটনাও কমে আসবে। অলাভজনক রেল সেক্টর লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে এ প্রকল্পটি অবদান রাখবে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষত আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডাবল লাইনের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ঢাকা থেকে পণ্য দ্রুত চট্টগ্রাম বন্দরে নেওয়া এবং সেখান থেকে দ্রুত ঢাকায় আনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনীতির পাইপলাইন হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম যোগাযোগ পথকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এই রুটে ডাবল লাইন বসানো শুধু নয়, সুব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত করা হবে। রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার ক্ষেত্রে যার কোনো বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর