শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কৃষিজমিতে শিল্প নয়

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অভিনন্দনযোগ্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কৃষিজমি নষ্ট করে কোনো শিল্প স্থাপন করতে দেওয়া হবে না। দেশের প্রয়োজনে সরকার র্শিল্পায়ন চায় কিন্তু কৃষি ও কৃষককে ত্যাগ করে নয়। ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে হবে। কৃষিজমি নষ্ট করে শিল্পায়ন করা যাবে না। বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের দশম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও অর্জনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। বিএনপির সময় সারের জন্য গুলি খেয়ে ১৮ কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। এখন আর কৃষককে জীবন দিতে হয় না। এখন সার কৃষকের হাতে পৌঁছে যায়। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। শিল্পকারখানা করার দরকার হলে সেখানে প্লট দেওয়া হবে। তিন ফসলি জমিতে কখনই শিল্পকারখানা করা হবে না। আমাদের কৃষিজমি বাঁচাতে হবে, মানুষকে খাওয়াতে হবে। আর খাদ্য চাহিদা কোনো দিন শেষ হয় না। জনসংখ্যা বাড়বে, খাদ্যের চাহিদাও বাড়বে। কাজেই একটি দেশের জন্য, সমাজের জন্য কৃষি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষক লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য খুবই গুরুত্বের দাবিদার। স্বাধীনতার চার যুগে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি থেকে সাড়ে ১৬ কোটিতে পৌঁছেছে। এই সময়ে দেশবাসীর বাসস্থান, শিক্ষা, যাতায়াতসহ নানা প্রয়োজনে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি ব্যবহৃত হয়েছে। অনুমিত হিসাবে চার যুগে কৃষিজমির পরিমাণ কমেছে ৪০ শতাংশের বেশি। এই সময়ে উন্নত কৃষি উপকরণ ও আধুনিকীকরণের বদৌলতে খাদ্য উৎপাদন গড়ে তিন গুণ বাড়লেও জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে বিদ্যমান কৃষিজমি দিয়ে খাদ্য চাহিদা পূরণ করা যাবে কিনা সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় কৃষিজমির সুসংরক্ষণ সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। শিল্পায়নে কৃষিজমির ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু শিল্পায়ন নয়, কৃষিজমিতে বাড়িঘর-স্থাপনা নির্মাণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবা হবে। অস্তিত্বের স্বার্থে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখারও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ বিষয়ে কুসংস্কারের গন্ডিও ভাঙতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর