রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

সত্য সুন্দর ও শান্তির প্রতীক ছিলেন তিনি

মানবতার মুক্তিদূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয় হিজরি সনের ১২ রবিউল আউয়াল দিনটিকে। আরবের মক্কা নগরীর অভিজাত কোরাইশ গোত্রে জন্মগ্রহণকারী মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিহিত করা হয়। মানবজাতিকে তিনি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করেন। প্রচার করেন সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের অমিয় বাণী। সহনশীলতার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ ছিলেন তিনি। এমন একসময় তিনি পৃথিবীতে আবির্ভূত হন যখন আল্লাহর শিক্ষা ভুলে মানবজাতি বিপথে পরিচালিত হচ্ছিল। হানাহানি আরবসহ সারা বিশ্বের মানবসমাজের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। মানবসমাজ থেকে সুনীতি ও সুবিবেচনা নির্বাসনে যাচ্ছিল। নারীর সম্মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল সে সময়। পবিত্র ভূমি মক্কায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সময় জন্মগ্রহণ করেন, সে সময় আরব উপদ্বীপ ও সংলগ্ন জনপদগুলোর অবস্থা ছিল ভয়াবহ। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন শুদ্ধাচারী মনোভাবের অধিকারী। অসত্য, অন্যায় ও অকল্যাণের পথ থেকে থাকতেন যোজন যোজন দূরে। অসত্য ও অবিশ্বস্ততা আরব সমাজের নিয়ামকে পরিণত হলেও তিনি মক্কাবাসীর কাছে সম্বোধিত হতেন ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বাসী হিসেবে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সর্বশক্তিমান আল্লাহর ঐশীগ্রন্থ আল কোরআন নাজিল হয়। মানবজাতিকে আলোর পথে উদ্বুদ্ধ করেছে এ গ্রন্থ। শান্তির সমাজ গঠনে আল কোরআন ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা সব যুগেই প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। এই মহাপুরুষ মদিনায় দুনিয়ার প্রথম কল্যাণ রাষ্ট্রের সূচনা করেন। সব ধর্মের মানুষের অধিকার স্বীকৃত হয় এ রাষ্ট্রব্যবস্থায়। তাঁর ওফাতের পর তাঁরই রেখে যাওয়া জীবনব্যবস্থা দেশ থেকে দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ধর্মীয় মর্যাদায় উদ্যাপিত হচ্ছে। এই দিনে আমরা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই। হানাহানি ও অশান্তি যখন বিশ্বজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে তখন তাঁর শিক্ষা মানবজাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে। ভ্রাতৃত্ববোধ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য এ আদর্শের প্রাসঙ্গিকতা আজকের যুগে সবচেয়ে বেশি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর