বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরকীয়া সমাজের অভিশাপ

শাহ মাহমুদ হাসান

পরকীয়া সমাজের অভিশাপ

নিজ স্ত্রী বা স্বামীকে রেখে পরনারী বা পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ককে পরকীয়া বলে যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও চরম ঘৃণ্য কাজ। আমাদের সমাজে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এই অভিশপ্ত পরকীয়া। এর অপপ্রভাবে ভেঙে টুকরা টুকরা হচ্ছে সাজানো সংসার। পরকীয়া ও অবৈধ প্রেমের আগুনে জ্বলছে দেশ, জাতি ও পরিবার। এ বিপর্যয়ের মূল উৎস হলো অশ্লীলতা, পর্দাহীনতা ও নগ্নতা। ইসলাম এ বিপর্যয়ের উৎসটাই উপড়ে ফেলতে চেয়েছে। তাই পুরুষকে নির্দেশ দিয়েছে দৃষ্টি অবনত রাখতে আর নারীকে নির্দেশ দিয়েছে দৃষ্টি অবনত রাখার পাশাপাশি দেহের সৌন্দর্যকে ঢেকে রাখতে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি মুমিনদের বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে আর তাদের যৌনাঙ্গকে হেফাজত করে। এ ব্যবস্থায় তাদের জন্য রয়েছে অধিকতর পবিত্রতা। তাদের কর্ম সম্পর্কে আল্লাহ অবশ্যই অবগত আছেন। আর মুমিন নারীদের বলুন তারাও যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং হেফাজত করে স্বীয় লজ্জাস্থানের।’ (সূরা নূর : ৩০-৩১)। এ ব্যবস্থা মেনে চললে নারী-পুরুষ থাকবে নিরাপদ ও কলঙ্কমুক্ত। আর সমাজ সংসার হবে পূত-পবিত্র।

নারী জাতিকে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা জাহেলি যুগের ন্যায় নিজেদের প্রদর্শন করে বাহিরে বের হয়ো না।’ (সূরা আহজাব : ৩৩)। এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শনের পরিণতি কি ভয়াবহ হতে পারে তা পত্রপত্রিকার শিরোনাম দেখলেই অনুমান করা যায়। ইসলামে বেগানা নর-নারীর কোনো নির্জন স্থানে মিলিত হওয়া সম্পূর্ণ হারাম। কারণ তাতে ব্যভিচার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। হাদিসে এসেছে, ‘যখনই কোনো পুরুষ পরনারীর সঙ্গে নির্জনে দেখা করে তখনই শয়তান সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত হয়।’ (তিরমিজি : ২১৬৫)। আর শয়তান তাদের ব্যভিচারের দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টায় মেতে ওঠে। ব্যভিচার করার আগ্রহ তৈরি হতে পারে এমন কাজের ধারেকাছে যেতেও কোরআন নিষেধ করেছে। ‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।’ (সূরা ইসরা : ৩২)। ইসলাম বিবাহবহির্ভূত যে কোনো যৌনাচারকে জেনা বলে গণ্য করেছে। হাদিসে এসেছে, ‘দুই চোখের জেনা হলো পরনারীর প্রতি নজর করা, দুই কানের জেনা হলো যৌন উত্তেজক কথাবার্তা শ্রবণ করা, মুখের জেনা হলো পরনারীর সঙ্গে রসালো কণ্ঠে কথা বলা।

                লেখক : ইসলামী গবেষক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর