শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কৃষিযন্ত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অগ্রসরমান কৃষি

শাইখ সিরাজ


কৃষিযন্ত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অগ্রসরমান কৃষি

চীনের চিংদাও শহরে গত ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের কৃষিযন্ত্রের বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। এটি চীনের ঐতিহ্যবাহী একটি মেলা। এবারের আয়োজনটি ছিল মেলার ৭০তম বছরে পদার্পণের। উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা বরাবরের চেয়ে সাড়ম্বরপূর্ণ, আলোঝলমলে ও বর্ণাঢ্য। চিংদাও ওয়ার্ল্ড এক্সপো সিটি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারের সুপরিসর হল কানায় কানায় পূর্ণ ছিল সারা পৃথিবীর কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারক, ব্যবসায়ী, সরবরাহকারী, বিজ্ঞানী, গবেষক, সাংবাদিক তথা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে। চীনা মন্ত্রী, নীতিনির্ধারক, আয়োজন সংগঠক, চীনের কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী সমিতি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সমিতি ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তুলে ধরেন এশিয়া তথা সারা বিশ্বের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের বর্তমান প্রেক্ষাপট। নানা রকমের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয় এবারের কৃষিযন্ত্র প্রদর্শনী। ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারের ২ লাখ বর্গফুটের বিশাল জায়গাজুড়ে বসে এবারের মেলা। চীনসহ বিশ্বের ২ হাজার ১০০ প্রতিষ্ঠান তাদের প্রস্তুতকৃত কৃষিযন্ত্রের পসরা সাজায়। কৃষিযন্ত্রের মেলা হলেও চারদিকে ভিজ্যুয়াল ব্যানার, শব্দ-সুরের মূর্ছনা, একের পর এক প্রদর্শিত নিত্যনতুন কৃষিযন্ত্রের প্রমোশনাল আর মানুষের কোলাহলে পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। গত বছর এ মেলার আয়োজন করা হয়েছিল চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে। এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি যন্ত্রপাতির এ মেলা শুধু এশিয়ায় নয়, সারা বিশে^র কাছেই কৃষির যান্ত্রিক বিকাশের এক বিস্ময়কর চিত্র তুলে ধরে। এবার মেলার ব্যাপকতা ছিল তার চেয়েও বেশি। যদিও ভেন্যুর বিশালতায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছানো, চাহিদা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি খুঁজে বের করা ছিল বেশ কঠিন। কী নেই মেলার স্টলগুলোয়! বড় বড় বিশাল সব ট্রাক্টর, হার্ভেস্টার থেকে শুরু করে ছোট বড় নানা যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ। যন্ত্রের উৎকর্ষ দেখে বোঝা যায় গোটা পৃথিবী প্রতিনিয়ত সেজেগুজে প্রস্তুত হচ্ছে কৃষি তথা খাদ্য উৎপাদনের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়। মানুষের যান্ত্রিক সুবিধাই শুধু নয়, গতর খাটানো পরিশ্রম থেকে মানুষ কীভাবে নিষ্কৃতি পেতে পাবে, সে ভাবনা রয়েছে অধিকাংশ যন্ত্রের নির্মাণশৈলীতে। কৃষক তথা কৃষিজীবী মানুষের জীবনকে সহজ করতে এসেছে নিত্যনতুন যন্ত্র। অধিকাংশ বড় আকারের কৃষিযন্ত্র বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইউরোপ-আমেরিকার বিস্তীর্ণ আবাদ ক্ষেত্রকে মাথায় রেখে তৈরি। চীনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এই কৃষিযন্ত্র প্রদর্শনীর সবচেয়ে কার্যকর দিক হচ্ছে- এখানে নীতিনির্ধারক, বিজ্ঞানী, গবেষক, সম্প্রসারক, কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারক, ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীর মধ্যে এক সেতুবন্ধ রচনা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে বিশ্বায়নের বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখেই সারা পৃথিবীর আজ ও আগামীর কৃষি নিয়ে বহুমুখী ভাবনা বিনিময় হয়। এবার ৭০তম আয়োজনের তিন দিনের এ প্রদর্শনীর সঙ্গে ছিল ৩০টি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম। এসব সেমিনারে উপস্থাপিত হয়েছে বর্তমান সময়ে কৃষির প্রতিটি চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে গভীরতাসন্ধানী গবেষণা প্রবন্ধ ও প্রতিবেদন। বিষয়ের মধ্যে ছিল ‘ভারী কৃষিযন্ত্র, উপকরণ পরিবহন ও স্থানান্তরের উপায়’, কৃষিবিষয়ক এভিয়েশনের উন্নয়ন, সাম্প্রতিক সময়ের সবজি উৎপাদন-বিষয়ক কৃষিযন্ত্রের বিকাশ ও উৎকর্ষ, সামাজিক কৃষিসেবা উন্নয়নবিষয়ক সেমিনার, চীনের কৃষিশিল্প প্রযুক্তির বর্তমান প্রেক্ষাপট বিষয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ, অর্থকরী কৃষিপণ্য উৎপাদনের প্রযুক্তি আলোচনা, আন্তর্জাতিক সেচ বৈঠক, উচ্চ পর্যায়ের বৃদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কৃষিযন্ত্র প্রস্তুত প্রযুক্তিবিষয়ক সেমিনার, প্রাণিসম্পদ পালন বিষয়ে সামগ্রিক প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা, কৃষিপণ্য শুকানো ও প্রক্রিয়াজাতকরণবিষয়ক যান্ত্রিকীকরণ নিয়ে আলোচনা, তেল ফসল উৎপাদনবিষয়ক কৃষিযন্ত্রের উৎকর্ষ নিয়ে আলোচনা, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছ উৎপাদনবিষয়ক প্রযুক্তি ও যন্ত্রবিষয়ক সেমিনার, পাহাড়ি এলাকায় যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্মেলন ইত্যাদি। এর বাইরেও ছিল বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পৃথক বৈঠক। ছিল আঞ্চলিক গণমাধ্যম সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক এগ্রি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন-আপামার বৈঠক। আপামার বৈঠকে চীনের আন্তর্জাতিক কৃষিযন্ত্র প্রদর্শনী প্রসারে গণমাধ্যমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করা হয়। কেমডার ডেপুটি সেক্রেটারি রু উইয়ের হাত থেকে আমি সে সম্মাননা গ্রহণ করি। একই সঙ্গে সম্মাননা দেওয়া হয় জাপান, থাইল্যান্ড ও নেপালকে। এ প্রদর্শনীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন চায়না এগ্রিকালচারাল রোবট কমপিটিশন। এ বিষয়টি নিয়ে আগামীতে বিস্তারিত লেখার আশা রাখছি।

চীন এখন পৃথিবীতে কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারক ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। আর বেশির ভাগ কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারক কারখানা শ্যাংডং, হেনান, জিয়াংশু, লিয়াওনিং ও ঝিজিয়াং প্রদেশে। বেশি হর্সপাওয়ার ও বেশি ডিগ্রির স্বয়ংক্রিয় বড় বড় ট্রাক্টর ও ফসল তোলার যন্ত্র তৈরি হচ্ছে এসব অঞ্চলের কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ বড় কারখানায়। পৃথিবীর কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারক শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে চীন রয়েছে শীর্ষে। গত বছর প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, চীন কৃষিযন্ত্র রপ্তানিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তৃতীয় জার্মানি। তার পরে পর্যায়ক্রমে রয়েছে জাপান, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, হংকং, ইংল্যান্ড ও ইতালি। ওই প্রতিবেদনে সর্বশেষ ২০১৫ সালের রপ্তানি আয়ের হিসাব উল্লেখ করা হয় ২ হাজার ২৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীন এগিয়ে আছে ৬৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। চীনের এ অগ্রগতি দিনের পর দিন আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বড় এক ভূমিকা রয়েছে আন্তর্জাতিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনীর। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে কথা হলো অনেকের সঙ্গেই। উইয়েনলিয়াং ঝাং নামের একজন চীনা এগ্রোমেশিনারিজ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা হয়। তিনি কৃষিপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও পরিবর্তন সম্পর্কে বলেন, ‘প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে প্রতিটি দিন। এই যে মেলায় যতসব যন্ত্রপাতি দেখতে পাচ্ছেন, এগুলো ইউরোপ-আমেরিকার যন্ত্রপাতি থেকে অনেক সস্তা। দিন দিন উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তির বিকাশ। যুক্ত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস।’ আমার প্রশ্ন ছিল, এসব প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি বেশ ব্যয়বহুল, বড় কৃষি খামারের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু ক্ষুদ্র কৃষক বা কৃষি উদ্যোক্তার জন্য এগুলো বেশ দামি, তাদের জন্য তারা কিছু ভাবছে কিনা! এ বিষয়ে ঝাং বলেন, ‘চীনের কৃষকের জন্য এটা সমস্যা নয়। চীনের ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য সরকার বড় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে দিয়েছে তারা যন্ত্র ভাড়া নিতে পারে। আর বড় কৃষকের জন্য কোনো সমস্যা নেই। তাদের এসব যন্ত্রপাতি কেনার সামর্থ্য আছে। চীনের আধুনিক কৃষি এখন তরুণদের হাতে। তারা এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে।’ জার্মানির কৃষিযন্ত্র নির্মাণকারী এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সেবাস্তিয়ান স্মিজা দেখালেন তাদের বিশাল দুটি যন্ত্র। যন্ত্রগুলো জমিতে জৈবসার প্রয়োগের জন্য তৈরি। তিনি মেশিনগুলো কীভাবে কাজ করে তার বিস্তারিত দেখালেন। একটি শক্ত জৈবসার প্রয়োগের মেশিন, অন্যটি তরল। মেশিন দুটির আকারই বলে দিচ্ছে বিশাল ফসলের মাঠে ব্যবহারের জন্য এগুলো তৈরি। বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের চিত্র হলো জমি চাষে ৯৫ ভাগ, সেচ ব্যবস্থায় ৯৫ ভাগ, ফসল তোলা বা হার্ভেস্টে ১.৫ ভাগ, ধান মাড়াইয়ে ৯৫ ভাগ, রোপণে দশমিক ৫ ভাগেরও কম। আমাদের দেশে ব্যবহৃত কৃষিযন্ত্রের কমবেশি ৮০ ভাগই আসছে চীন থেকে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী আমাদের দেশে গত বছরের কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের। তবে কৃষিশ্রমিকের হার দ্রুত কমে আসা, ফসল উৎপাদনে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ নানা কারণেই কৃষিযন্ত্রের এই বাজারের আকার বাড়ছে। সার্ক দেশগুলোর কৃষির যান্ত্রিকীকরণের নিবিড়তাবিষয়ক সাম্প্রতিক এক গবেষণার হিসাবে, বাংলাদেশে আমদানির বাইরেও ২০ ভাগ কৃষিযন্ত্রের চাহিদা পূরণ করছে দেশীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশে রয়েছে ৭০টি ফাউন্ড্রি, ২ হাজার কৃষিযন্ত্র ও যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক কারখানা ও ২০ হাজারের মতো যন্ত্রপাতি মেরামত কারখানা। কৃষিযন্ত্রের যে কোনো পার্টসের ৬০ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।

বর্তমান সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণে বেশ জোর দিয়েছে। সব কৃষকের কৃষিযন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ ভর্তুকি চালু রয়েছে। এ ছাড়া হাওরের কৃষকের জন্য বেশকিছু কৃষিযন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে ৭০ ভাগ। এ ছাড়া কৃষি খাতে দেওয়া ভর্তুকির ৯ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৩ হাজার কোটি বা ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কৃষিযন্ত্র কেনার জন্যও সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে। সামগ্রিকভাবেই আমাদের ফসল তোলা, ফসল রোপণ, ফসলের প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেজিং, জমিতে সার প্রয়োগসহ নানা ক্ষেত্রেই কার্যকর কৃষিযন্ত্রের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। দেশের ২০ থেকে ২৫টি প্রতিষ্ঠান বড় আকারের কৃষিযন্ত্র আমদানির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ছোট আকারের কৃষিযন্ত্র ও ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ আমদানিকারকের সংখ্যা তাদের চেয়ে বড়। অন্যান্যবারের মতো এবারও আমাদের দেশের আমদানিকারকদের একটি দল চীনের কৃষিযন্ত্র প্রদর্শনীতে যায়। এবারের মেলায় প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যবহার-উপযোগী যন্ত্রপাতি উঠেছে, কিন্তু তা পরিমাণে কম। গত তিন বছর ধরেই আমি খুঁজছিলাম দুধ দোহানোর জন্য ছোট আকৃতির কোনো যন্ত্র। এবার মেলায় ঘুরতে ঘুরতে পেয়ে গেলাম। কিছু যন্ত্রাংশ ইতালি থেকে আমদানি করে চাইনিজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দারুণ মেশিন তৈরি করেছে তারা। মাঝারি খামারিদের জন্য এ মেশিনটি বেশ কার্যকর বলে মনে হলো আমার। বিক্রেতা তরুণী জানাল, ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে যন্ত্রটি কেনা সম্ভব। যন্ত্রটি দিয়ে একবারে দুটি গরুর দুধ দোহানো সম্ভব। ২৫ লিটার ধারণক্ষমতার দুটি ট্যাংক যুক্ত আছে যন্ত্রটির সঙ্গে। সামগ্রিকভাবে চীনের এই কৃষিযন্ত্র মেলা আমাদের সামনে উপস্থাপন করছে নতুন নতুন বিস্ময়। কৃষির যান্ত্রিকীকরণের এক বিস্ময়কর বিবর্তন চোখে পড়ে এ মেলার কারণে। চীন শুধু এশিয়ায় নয়, সারা পৃথিবীর বাজারে তাদের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য নানামুখী গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বছরব্যাপী এসব তৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এ প্রদর্শনী। এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃষিযন্ত্র ও যান্ত্রিকীকরণবিষয়ক এ আয়োজনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গবেষণা, সম্প্রসারণসহ সব ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। প্রয়োজন আলোচনার মাধ্যমে সম্ভাবনা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে বেশি বেশি কৃষিযন্ত্র আমদানির আরও অনুকূল পথ তৈরি করা। যত দ্রুত কৃষির সব ক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণ হবে, তত দ্রুত উৎপাদনে বাড়বে উৎকর্ষ। খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বব্যাপী সাফল্য অর্জনকারী দেশ হিসেবে কৃষির যান্ত্রিকীকরণে আমাদের আরও দ্রুত অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন।

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

Email : [email protected]

সর্বশেষ খবর