বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ আমিরাত সম্পর্ক

দুই দেশের জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করবে

বাংলাদেশে আরব আমিরাতের বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর আমিরাত সফরের উদ্দেশ্য হিসেবে যে দুটি ইস্যুকে দেখা হচ্ছে তার একটি হলো সে দেশে নতুন করে জনশক্তি রপ্তানি শুরু করা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আমিরাত যুবরাজের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতিও পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, পরবর্তী সাক্ষাতে আপনাকে এ বিষয়ে আর বলতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফরের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিশেষ করে তৈরি পোশাক, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আমিরাতের উদ্যোক্তাদের বড় আকারে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, তাঁর সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস সুবিধা, এক শর অধিক অবকাঠামোসহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সহনীয় বিনিয়োগ নীতি রয়েছে। আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান, শুল্ক রেয়াত, যন্ত্রাংশ আমদানিতে স্বল্প শুল্ক, যে কোনো সময় লাভ এবং আসলসহ প্রস্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, নিটওয়্যার, ফ্রোজেন ফুড, বস্ত্র, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য এবং প্রকৌশল সামগ্রী আমদানি করতে পারে। স্মর্তব্য, চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো আরব আমিরাত সফর করলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এই ধনী দেশটি সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বন্দর স্থাপন, শিল্প পার্ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, এলএনজি সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের চুক্তি হয়। দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে তাতে উভয় দেশ লাভবান হবে। মুসলিম উম্মাহর অগ্রগতিতেও যা ইতিবাচক অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

সর্বশেষ খবর